ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফের ভারতের হাইওয়ে তৈরির কাজ বন্ধ করল নেপাল

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ১০ জুলাই ২০২০

ফের ভারতের হাইওয়ে তৈরির কাজ বন্ধ করল নেপাল

অনলাইন ডেস্ক ॥ কিছুদিন আগে ভারতের উত্তরখণ্ডের ধারাচুলা থেকে লিপুলেখ পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজে বাধা দিয়েছিল নেপাল। তারপরই তিনটি ভারতীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধান সংশোধন করে নেপাল সরকার। এর জেরে দু’দেশের মধ্যে এখনও উত্তেজনা চলছে। তারমধ্যেই ফের বিহারের সীতামারি জেলার নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় ভারতের একটি হাইওয়ে তৈরির কাজ বন্ধ করে দিল নেপাল। বিষয়টি নিয়ে ফের উত্তেজনা বৃদ্ধি শুরু হয়েছে দিল্লি ও কাঠমন্ডুর মধ্যে। সীতামারি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিহারের ৬৩১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নেপালের সীমান্ত রয়েছে। এতদিন ধরে এই সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছে বিহার সরকার। তাতে কোনওদিনই কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু কিছুদিন ধরেই বিহারের সরকারের বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজে বাধা দিচ্ছে নেপালের সরকার। কিছুদিন আগে পূর্ব চম্পারণ জেলার নেপাল সীমান্তের কাছে থাকা লালবকেয়া নদীর উপর একটি বাঁধ তৈরির কাজে বাধা দিয়েছিল তারা। তারপর সীতামারির এক বাসিন্দাকে সীমান্তের ওপার থেকে গুলি চালিয়ে মারে নেপালের সীমান্তরক্ষীরা। এবার বিহারের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত রাম-সীতার স্মৃতি বিজাড়িত সীতামারি থেকে ভিট্টামোড় পর্যন্ত হাইওয়ে তৈরির কাজ বন্ধ করে দিল তারা। ভারত নো ম্যানস ল্যান্ডের উপর দিয়ে এই রাস্তা বানাচ্ছে বলে অভিযোগ কাঠমান্ডুর। যদিও সেই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন ওই হাইওয়ে তৈরির কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, বিহারের সীতামারি জেলার উলটোদিকে রয়েছে নেপালের মাহোত্তারি জেলা। সেখানকার সুরসান্দ ব্লক এলাকা সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে একটি হাইওয়ে তৈরির কাজ করছিল বিহার সরকার। কিন্তু গতকাল বুধবার তাতে বাধা দেয় নেপালের সীমান্তরক্ষীরা। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হলে সীতামারির জেলা পুলিশ ও সীমান্ত সুরক্ষা বল-এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। নেপালের অভিযোগ ছিল, ভারত নো ম্যানস ল্যান্ডের উপর দিয়ে ওই হাইওয়ে বানাচ্ছে। যদিও তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পর ঠিক হয়ে দু'দেশের তরফে ওই এলাকার সার্ভে করা হবে। তারপরই ফের শুরু হবে রাস্তা তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
×