ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুলিশকে ঘুষ না খাওয়ার আহ্বান আইজিপির

প্রকাশিত: ০১:২৮, ১০ জুলাই ২০২০

পুলিশকে ঘুষ না খাওয়ার আহ্বান আইজিপির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বর্তমানে সরকারী বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সুন্দরভাবে জীবন চালানো যায়। একজন সরকারী কর্মচারীর ব্যয় হতে হবে তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। অবৈধ অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে বিলাসী জীবন-যাপনের স্থান পুলিশের চাকরি নয়। দুর্নীতিবাজরা পুলিশে থাকতে পারবে না। বড় লোক হতে চাইলে তারা পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করুন। বৃহস্পতিবার সারাদেশের সব ওসির সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে একথা বলেন পুলিশ প্রধান। এই প্রথমবারের মতো পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) দেশের ৬৬০টি থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভা করেন। কনফারেন্সে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ওসিদের যেকোন প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী চলে এই ভিডিও কনফারেন্স। এ সময় তিনি বলেন, আপনারা নিজে অবৈধ উপায়ে কোন অর্থ উপার্জন করবেন না, অন্য কাউকে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের সুযোগও করে দেবেন না। কনফারেন্সে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন- কোন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাও আপনাদের কাছে ঘুষ বা মাশোহরা চাইলে তা আমাকে নির্ভয়ে জানান। আমি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে দেখব। কারণ ৬৬০ থানার অফিসার ইনচার্জ হলো বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিচ্ছবি। আপনাদের ওপরই বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি নির্ভর করে। আপনাদেরকে এমনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে জনগণ আপনাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে এবং আপনাদের প্রত্যেককে যেন একজন সোশ্যাল লিডার হিসেবে সম্মান করে। বাংলাদেশ পুলিশ গত তিন মাসে যেখানে গিয়েছে সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে যাবে না। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে জনগণের পুলিশ হয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে পুলিশকে বেরিয়ে আসতে হবে। শারীরিক শক্তি ব্যবহার না করে আইনী সক্ষমতা ও মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে হবে। পুলিশ অফিসার ও ফোর্সের জন্য বর্তমানে প্রচলিত কল্যাণ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে তাদের চিকিৎসা, সন্তানদের লেখাপড়া আবাসন এবং অবসর পরবর্তী সময়েও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। সৎ ও স্বচ্ছ উপায়েও যেন পুলিশের প্রত্যেক সদস্য জীবন-যাপন করতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সদস্যদের জন্য কল্যাণ পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।
×