ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজার সরকারী কলেজে কাজ না করেই টাকা লোপাট

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১০ জুলাই ২০২০

কক্সবাজার সরকারী কলেজে কাজ না করেই টাকা লোপাট

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সরকারী কলেজে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া ৫ লাখ টাকার কাজ না করেই লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই বরাদ্দ দেয়া হয়। ভৌত বিজ্ঞান ভবনে গ্রন্থাগারের সঙ্গে সংযুক্ত করে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্নতমানের ওয়াশরুম নির্মাণকল্পে দেয়া বরাদ্দের খবর অনেকে জানলেও এখনও কাজ শুরু হয়নি। অথচ অর্থবছর শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে বরাদ্দের ৫ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হলে নির্ধারিত মেয়াদ শেষের পরে তড়িঘড়ি করে কোন রকমভাবে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কক্সবাজার সরকারী কলেজের গ্রন্থাগারিক নার্গিস ফাতেমা জানান, কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা কয়েকমাস আগে সাবেক অধ্যক্ষের কাছ থেকে শুনেছিলাম। তবে এ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। এর বাইরে আর কিছুই জানা নেই। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পার্থ সারথি সৌম্য বলেন, কলেজের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কমপ্লেক্সে ওয়াশরুম নির্মাণের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় সত্য। নানা কারণে হয়ত সেই কাজ করা হয়নি। আমাদের কাজ দরকার। তাই সেই কাজ এখন সম্পাদন করে দিলে সমস্যা হবে না। এদিকে কলেজের কৃষি জমি ও পুকুর ইজারা দেয়ার মধ্যেও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। করোনাকালীন এপ্রিল, মে ও জুন মাসে বেসিক ব্যাংকের কলেজের হিসাব থেকে অস্বাভাবিক টাকা উত্তোলনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করলে অনেক দুর্নীতি বের হয়ে আসবে বলে জানান অনেকে। এছাড়াও কলেজের উন্নয়নের জন্য সরকারী বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা ভুয়া বিল-ভাউচার জমা দিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কলেজের স্বাধীনতা ভবন সংস্কারের জন্য ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ হলেও দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে সিংহভাগ অর্থ। ১ জুলাই থেকে দায়িত্ব নিয়েছি জানিয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পার্থ সারথি সৌম্য ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দের অর্ধেক কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বাকি টাকার কাজ অন্য ভবনে করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষই জানতেন।
×