ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ১০ জুলাই ২০২০

ঝলক

প্রাচীনতম সমাধিক্ষেত্র ফ্রান্সের ব্রিট্টানিতে গাভ্রিনিস নামের ছোট্ট একটি দ্বীপ রয়েছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রগুলোর একটি সেখানকার। যার নাম গাভ্রিনিস। নামটি এসেছে দুটি ব্রেটন শব্দ ‘গ্রেভর’ ও ‘ইনিম’ থেকে। শব্দ দু’টির অর্থ যথাক্রমে ছাগল ও দ্বীপ। নামের পুরো অর্থ দাঁড়ায়- ছাগলের দ্বীপ। দ্বীপের নামেই সমাধিক্ষেত্রের নামকরণ করা হয়েছিল গাভ্রিনিস। তবে সমাধির নির্মাণকালে কি নাম ছিল কিংবা দ্বীপের নাম কি তা জানা যায়নি। গাভ্রিনিস নামকরণের ঘটনা মাত্র এক হাজার বছর আগের। সবচেয়ে শিল্পসমৃদ্ধ সমাধি বলা যেতে পারে এটিকে। ৩৫০০-৩৪০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের মাঝে নির্মিত স্থাপনাটির মাঝারি আকৃতির মেগালিথগুলোতে খোদাই করা আছে অসংখ্য চিত্রকর্ম। প্রাচীনকালের মানুষের অজানা কোন ভাষা, তাদের সংস্কৃতি, সমাজ, গৃহপালিত পশু, দেবদেবী, শিকার, পবিত্র ও রহস্যময় সব চিহ্নের চিত্র ফুটে উঠেছে। ১৮৩৫ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হলেও যথাযথ খনন কাজ শেষ হয় ১৯৮০’র দশকে। বর্তমানে সেটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত। সেখানকার অনেক খোদাই করা পাথুরে চিত্রকর্ম বর্তমানে বুগন জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে। জাদুঘরটি আবার আরেক প্রাচীন সমাধি টিউমুলাস অব বুগনের জন্য তৈরি। -ওয়েবসাইট ভূতের হোটেল অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে ভীতিকর জায়গাগুলোর মধ্যে নর্থ কাপুনডা হোটেলটি অন্যতম। এটি তৈরি হয় ১৮৪৯ সালে। তখন নাম ছিল নর্থ কাপুনডা আর্মস। ১৮৫৬ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় নর্থ কাপুনডা হোটেল। তখন তামা খনিতে কাজ করতে অনেক শ্রমিক কাপুনডা শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করে। মূলত তাদের জন্যই তৈরি হয়েছিল হোটেলটি। কাপুনডা শহরের রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে হোটেলের অতীত ইতিহাস। ১৮৫৯ সালে কাপুনডা শহরে দাঙ্গা হয়েছিল। তৎকালীন পুলিশ সুপার মিস্টার কুয়েলি কাপুনডা হোটেলের বেলকনিতে দাঁড়িয়ে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা হাজারও মানুষের উদ্দেশে বিশেষ দাঙ্গা আইন পড়ে শোনান। জনমত আছে, সে সময় খনি শ্রমিকরা হোটেলের নিচ দিয়ে বেশকিছু টানেল নির্মাণ করেন যা স্থানীয় বিভিন্ন খনির সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। টানেলে আটকা পড়ে শ্রমিকদের মৃত্যু ও পতিতাদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলাসহ সেখানে আরও অনেক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যায়। হঠাৎ করেই হোটেলটিতে শুরু হয় ভৌতিক সব কার্যকলাপ যার অনেক চাক্ষুষ সাক্ষী এখনও রয়েছেন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, ওই হোটেলে মারা যাওয়া সব অধিবাসীর ভূত এখনও বাস করছে সেখানে। যাদের মধ্যে রয়েছে হোটেলের এক সময়কার মালিক, খনি শ্রমিক, রাজনীতিবিদ, রূপসী মেয়েসহ আরও অনেকে। পরে ওইসব ঘটনা নিয়ে বিশেষ টিভি সিরিজ ‘হান্টিং অস্ট্রেলিয়া’তে নর্থ কাপুনডা নিয়ে একটি এপিসোডে হোটেলটির ভৌতিক ঘটনাগুলো তুলে ধরা হয়। যারা ভৌতিক ঘটনার তদন্ত করেছেন তারা জানিয়েছেন, ওইসব ঘটনা হোটেলের কিছু অব্যবহৃত অংশেই ঘটে থাকে যার কোন ব্যাখ্যা নেই।-ব্যারোসা এ্যান্ড লাইট হেরাল্ড
×