ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের অটো পাসের সিদ্ধান্তের খবর গুজব

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১০ জুলাই ২০২০

শিক্ষার্থীদের অটো পাসের সিদ্ধান্তের খবর গুজব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাণঘাতী করোনার মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণীতে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত বা অটো পাসের অনুমতি দেয়ার খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘গুজব’ বলে অভিহিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বিভিন্ন শ্রেণীতে পরীক্ষা ছাড়াই অটো পাসের কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এদিকে বন্ধ হওয়া সরকারী পাটকলগুলোর অধীনে থাকা বিজেএমসির মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হতে পারে। এর আগে ক’দিন ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শ্রেণীতে পরীক্ষা ছাড়াই অটো পাস দিয়ে পরবর্তী শ্রেণীতে উন্নিত করার খবর প্রকাশ হচ্ছে। কোন কোন মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও খবর প্রকাশ হয়। করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিকের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে। বর্তমান পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে তাও অনিশ্চিত। এ কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কলেজ কর্তৃপক্ষ অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে অটোমেটিক পাস করিয়েছেন। চলতি মাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু করার কথা। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বলা হয়, চলতি মাসে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাময়িক পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের পাস করানো হতে পারে। এমনকি মাধ্যমিক পর্যায়েও এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, অটো পাস সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে রাখা যেতে পারে। তবে সে সিদ্ধান্ত এখনই নেয়া উচিত হবে না। এজন্য আরও সময় প্রয়োজন। এমন অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘গুজব’ বলে জানিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরীক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের অটো পাস করানো হবে- এ ধরনের প্রতিবেদন সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘গুজব’। এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। এদিকে ক্রমাগত লোকসানের কারণে স্থায়ী শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসরে পাঠিয়ে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পাটকলগুলোর অধীনে থাকা বিজেএমসির মাধ্যমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত ও প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে বিজেএমসির ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের সংখ্যা ১৩২ জন। ২৫টি সরকারী পাটকলের ২৪ হাজার ৮৮৬ জন শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে বিদায় করে দেবে সরকার। পরবর্তী সময়ে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে মিলগুলো ফের চালু করা হবে বলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
×