দেশের অব্যাহত উন্নয়নকে সমৃদ্ধতর করার মানসে যথার্থ অর্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার একনেকের বৈঠকে সুস্পষ্টভাবে সময়োপযোগী নির্দেশনা প্রদান করেছেন। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ দেয়া যায় কিনা, তা অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য। তার এই সাধু নির্দেশ অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য। কেননা, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ মার্কিন ডলার ৩৬ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এক্ষণে নিট ফরেন এসেটের সে অংশটুকু, যেটি ডমেস্টিক ক্রেডিটে আনয়ন করা যায়, সেটিকে অবশ্যই কর্মসংস্থানমূলক উন্নয়ন কর্মকা-ে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনীতির উন্নয়ন সাধন করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। বৈশ্বিক মহামারীর যুগে বর্তমান সরকার প্রমাণ করেছে যে, কথা নয় বরং জনকল্যাণের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথ রয়েছে। প্রতি গ্রামভিত্তিক ছোট ছোট উন্নয়নের রূপরেখাগুলোকে এবার বাস্তবায়নের পথ ধরে অগ্রসর হতে হবে। আসলে পরিকল্পনা কমিশন বিভিন্ন কনসালট্যান্টের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্প তৈরি করে থাকে। যারা এই সমস্ত প্রকল্প তৈরি করে থাকে, তাদের অনেকেই আবার উচ্চ মার্গের অর্থনীতিবিদ হওয়ায় দেশীয় ও স্থানীয় অর্থনীতির জন্য কোন্টি গ্রহণযোগ্য আর কোন্টি অগ্রণযোগ্যÑ এক্ষেত্রে ডেমার্কেশন করতে পারে না। কয়েক বছর আগে একটি গবেষণার ফল আমাদের দেশের সবাইকে আশ্চর্য করেছে। শীতকালে নাকি কর্মসংস্থান কমে যায়। বাস্তবতা হলো যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটল, সেটি ছিল চল্লিশ বছর আগের ঘটনা। তখন শীতকালে কর্মসংস্থান কমে যেত। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট বদলিয়েছে। শীতকালে নতুন ধরনের কর্মসংস্থান, পিঠা-পুলির উৎসব এবং প্রচ্ছন্ন ও ছায়া বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বরং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার কারণে কৃষি এবং শিল্প বিভিন্ন জেলা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে আম্ফানকে সুন্দরভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা করায় খুব স্বল্প ক্ষতি এদেশে হলেও বন্যায় কিন্তু ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যারা দেশী-বিদেশী কনসালট্যান্সি করে থাকে তারা একেক সময়ে একেক তথ্য দেয়। স্বাভাবিক নিয়মে যে কনসালট্যান্সিগুলো বিআইডিএসের করার কথা, সেগুলো একটি সুবিধাবাদী কায়েমী গোষ্ঠী তাদের পরিচিত গ্রুপসমূহকে দেয়। তারা আবার সাব কন্ট্রাক্টও দেয়। ফলে দেখা যায় এদের চেহারা গিরগিটির মতো পাল্টে যায়। পত্রিকায় প্রকাশিত কিবরিয়া সাহেবের আমলের একটি ঘটনার কথা মনে আছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধির পরিমাণ তার সঙ্গে মিটিংয়ে ক্যালকুলেশন করেছেন এক রকম। আবার বিকেলে দাতা গোষ্ঠীর জন্য এক রকম। পরের দিন নিজের অফিসের জন্য অন্যরকম। মাঝখান থেকে কিবরিয়া সাহেব যতদিন বেঁচেছিলেন, ওই অর্থনীতিবিদের জন্য তার অফিসের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ওই ভদ্রলোক একটি বিশাল পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। এ ধরনের সুযোগ-সন্ধানীর অভাব নেই। তাই গত এগারো বছরে যারা বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন, রাতারাতি এখন নানাভাবে মিডিয়া ও তথাকথিত সোশ্যাল একটিভিটিস্ট হিসেবে উল্টোপাল্টা বলছেন, ব্যাংকের চ্যায়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের যারা কাজ দিয়েছেন, অন্তত তাদের চিহ্নিত করা হোক। ভিন্নমত অবশ্যই থাকবে, কিন্তু তার মানে এই না যে, অর্থনীতি চর্চা করতে এসে সমগ্র বিষ উগড়ে ঢেলে দেবেন। আবার সরকারী প্রকল্পের কাজ করবেন, তথাকথিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবেন পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে। এই বৈশ্বিক মহামারীর সময়ে অবশ্যই কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে। সাধারণ খাবার ও সাধারণ মানের হোটেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা অতিরিক্ত ও প্রাচুর্যপূর্ণ আচার অনুষ্ঠান করে টাকার অপচয় করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যথাযর্থই একনেক সভায় মন্তব্য করেছেন যে, বিদেশ থেকে আমরা যে সুদে ঋণ আনি, তা একটু কম হলেও দেশের টাকা ব্যবহার করলে লাভটা দেশেই থাকবে। অত্যন্ত উত্তম নির্দেশনা দিয়েছেন। সুদের পাশাপাশি স্থানীয় পুঁজি ব্যবহার করলে এটি দেশেই পুঁজির বিকাশ ঘটাবে এবং একসময়ে সুদাসলে অতিরিক্ত অর্থ আবার বিদেশে প্রেরণ করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যারা বাস্তবায়ন করবেন- তারা যদি যথার্থ অর্থে উদ্যোগ নেয় তবে আখেরে দেশেরই মঙ্গল হবে। অনেক সময়ে দাতা গোষ্ঠী থেকে বাস্তবায়নকারীদের কেউ কেউ পছন্দ করেন এ কারণে যে, এর সঙ্গে বিদেশে প্রশিক্ষণ যুক্ত থাকে, মাসিক মাসোহারা এবং অনারিয়াম যুক্ত থাকে। আজ যখন বৈশ্বিক মহামারীতে দেশের ক্রান্তিকালে সামনে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা অনবদ্য নেতৃত্বগুণে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন যথাযথ অর্থে রাষ্ট্রনায়োকোচিতভাবে, তখন অবশ্যই আমাদের বাস্তবায়নকারীদের সততা নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের পাশাপাশি তদারকি শক্তিশালী করতে হবে। যারা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে মনেপ্রাণে লালন পালন করেন, তাদের কাজে লাগাতে হবে। কেবল মুখে বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য রাখবে এবং বিদেশী অর্থনীতির মডেল সম্পর্কে ধারণা আছে, কিন্তু দেশীয় অর্থনীতির মডেল-স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের উপায় সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তাদের দিয়ে আর যাই হোক, এক্ষণে বৈশ্বিক মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় অর্থনীতিতে জোর দেয়া দরকার, সরকার নির্দেশিতভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি দরকার এবং সাধারণ জনমানুষের নির্দেশিত পথকে বাস্তবায়ন করবে, কিন্তু অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক উন্নয়নকে যাতে লোক দেখানো না করে সেদিকে খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিজ্ঞজনোচিতভাবে বর্তমানের মহামারীর সময়ে দুটো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য এবং অর্থ মন্ত্রণালয় কার্যত সামাল দিচ্ছেন। তিনি জাতির মঙ্গলের জন্য অনেক বেশি চাপ এককভাবে নিচ্ছেন। জনগণ তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।‘জীবন ও জীবিকার’ মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে কোভিডের পাশাপাশি বন্যার ক্ষেত্রেও প্রচ- চাপ সহ্য করতে হচ্ছে। তারপরও তার কর্মকা-ে অবশ্যই প্রথাগত অর্থনীতির বাইরে এসে মানুষের মঙ্গল বাঞ্ছনা, অদম্য শুভ শক্তির বিজয় সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ধ্বনি-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এতে উপকার পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তবে কিছু ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে দুর্নীতি হয় কিন্তু সেটির মাত্রাও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। গত চার মাসে এত বড় মহামারী, তা-ব তার পরও কোন মানুষ যাতে না খেয়ে মারা না যায়, সে জন্য সরকার, তার দল, দলীয় অঙ্গসংগঠন অত্যন্ত শক্তিমত্তার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। দেশের এই দুর্যোগকালে যারা কালো টাকা মানবিক কারণে ব্যয় করবেন, কিংবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন তারা যেন দায়মুক্তি পায় সেটি বিবেচনা করে একটি বিল তৈরি করার জন্য প্রস্তাব করছি। যাদের কাছে কালো টাকা আছে তারা তখনই দেশে বিনিয়োগ করবেন যখন দায় মুক্তির বিল থাকে। এদেশে কল্যাণ অর্থনীতির সৃষ্টির ধারক বাহক হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যারা কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাদের মধ্যে সহায়তা প্রদান করা দরকার। সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তা যেন টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌঁছে সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। নচেত যে মাধ্যমে টাকাটি দেয়া হোক টার্গেট গ্রুপের কাছে নাও পৌঁছতে পারে।
আবার সরবরাহজনিত সমস্যা দূরীকরণে সরকার নানামুখী ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার কোরবানির পশু রেলওয়ের মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভাল উদ্যোগ। পশুর দাম যেমন ক্রেতা- বিক্রেতা উভয়ের জন্য ন্যায্যমূল্য হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। অনলাইন ব্যবসায়ীদের গবাদিপশু ন্যায্যমূল্যে সংগ্রহ এবং সীমিত লাভ করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি সøটার হাউজের ব্যবস্থা করতে হতে পারে। এখন থেকেই এ ব্যাপারে প্রস্তুতি থাকা দরকার। তবে রেলওয়ের মাধ্যমে পশু চলাচলের ব্যবস্থা করলেই হবে না। বরং প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সহায়তায় খামারি ও পাইকারদের এ ব্যাপারে সহায়তা করতে হবে। দেশে যারা ব্যবসা করবেন অনলাইনে হোক কিংবা ফিজিক্যাল হোক, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে ব্যবসা কতে হবে। কেননা ব্যবসা বাদ দিয়ে যদি ভোগবাদী সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের গ্রাস কেড়ে নেয় তবে ভুল হবে। এদিকে ইন্টারনেট সেবা খাতে উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন সর্বোচ্চ পঞ্চাশ লাখ টাকা দেবে বেসরকারী ব্যাংক প্রাইম ব্যাংক লিঃ। আসলে এ টাকা যেন যথার্থভাবে ইন্টারনেট সার্ভিসের কাজে লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কেননা যথার্থ অর্থে তদারকি না থাকলে এক ফান্ডের টাকা অন্য ফান্ডে চলে যেতে পারে। আবার পাচার হওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। এমনিতেই আমাদের দেশে মহামারীর সময়ে কেবল কল ড্রপ নয়, ইন্টারনেটের স্পিড খুবই কমে গেছে এবং সেবার মানে অধোগতি লাভ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি যথার্থই অনুরোধা করেছেন যে, ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে অথবা স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদান করার জন্য। আমি মনে করি এটি অত্যন্ত উত্তম প্রস্তাব। যারা অসচ্ছল পরিবারের ছাত্রছাত্রী তারা যেন অনলাইনে পড়তে পারে সে জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০% ছাত্রছাত্রীকে সপ্তাহে ৮/১০ ঘণ্টা ইন্টারনেট সার্ভিস দেয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির আওতায়। বাংলাদেশে মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে যেখানে একজনে সিনিয়র সচিবের সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মাসে তিন লাখ টাকার মতো বেতন পড়ে, সেখানে কোন কোন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সকল সুযোগ-সুবিধা মিলে বেতন-ভাতাদি নিয়ে পড়ে পনেরো লাখ থেকে বিশ লাখ টাকা। এ মহামারী দুর্যোগের সময়ে ব্যাংকারদের বেতন-ভাতাদি জাতীয় স্কেলের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করা যায় কিনা, সে জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎপরতা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এদিকে ব্যাংকিং খাতে যে বিশৃঙ্খলা রয়েছে, তাতে জনকল্যাণের কাজটি সরকারী নানা সাধু উদ্যোগ সত্ত্বেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এ ধরনের অব্যবস্থাপনা দূর করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন হচ্ছে কিছু ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় স্থানান্তর করা। আবার যেগুলো দুর্বল ব্যাংক রয়েছে সেগুলোকে অবশ্যই সবল ব্যাংক দ্বারা অধিগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা ন্যূনতম নীতি থাকলে কোন ব্যাংকে এত বেশি পরিমাণে ঋণখেলাপী হতে পারে না। আমরা যখন ব্যাংকার হিসেবে ঢুকেছিলাম তখন প্রশিক্ষণ দেয়া হতো নীতি ও নৈতিকতার বিষয়ে। এক্ষণে এবার যারা বিসিএসে নতুন ঢুকতে যাচ্ছেন, তাদেরও মানবতাবোধ, নৈতিকতা এবং নীতির ওপর বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। কেননা আমাদের পরিবার থেকে মূল্যবোধ শেখানো হতো, তারপরে স্কুলে। কিন্তু গত চল্লিশ বছরে স্কুলগুলোতে নীতি, নৈতিকতার চর্চা নেই। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নীতি ও নৈতিকতার একটি পাঠক্রম বাণিজ্য অনুষদে রয়েছে। এই অবস্থায় কতটুকু নৈতিকতা ও সততা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্যই আজ আবার প্রাইমারি পর্যায়ে থেকে নৈতিকতা ও সততার শিক্ষা দিতে হবে। সরকারপ্রধানের নির্দেশে মহামারী শুরুর পর থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন যেভাবে মানুষের বাসায় বাসায় ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে, ধান কাটার কাজে সাহায্য করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জনকল্যাণের কথা চিন্তা করে নেত্রী যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন সে নির্দেশ পালনে অঙ্গসংগঠনের লোকেরা তৎপর ছিলেন। আসলে এখানেই শেখ হাসিনার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ও কৃতিত্ব। জনমানুষের দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, জনগণকে তিনি সাহস যোগাচ্ছেন। জনগণের কল্যাণে তিনি আত্মনিবেদিত।
লেখক : ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল
ইকোনমিস্ট ও প্রফেসর
[email protected]