ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে শিশু হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে হত

প্রকাশিত: ০১:৩৫, ৯ জুলাই ২০২০

চট্টগ্রামে শিশু হত্যা মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে হত

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে তিন বছরের শিশু খুনের মামলার এক আসামি। তার নাম জসিম উদ্দিন রাজু। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে মহানগরের ডবলমুরিং থানার ঝর্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি এলজি, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, একটি ধারালো অস্ত্র এবং ৮৭৫ ইয়াবা ট্যাবলেট। জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে জসিম উদ্দিন রাজুর সঙ্গে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নিলু আক্তারের ঝগড়া হয়। এর জের ধরে জসিম তার ভাইয়ের তিন বছরের পুত্র মেহরাবকে ধারালো ছোরা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিলু আক্তার বাদী হয়ে ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকে রাজু। ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন জানান, জসিম উদ্দিন রাজু শিশু হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে বেশকিছু অপরাধমূলক কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে। মামলার ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাতে থাকে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঝর্নাপাড়া এলাকার জোড়ডেবার পূর্ব পাড়ে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। সেখানে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে কিছুক্ষণের জন্য বন্দুকযুদ্ধ হয়। একপর্যায়ে সহযোগীরা পালিয়ে যায়। অকুস্থলে পাওয়া যায় গুলিবিদ্ধ রাজুকে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ৫ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। পাবনা নিজস্ব সংবাদদাতা পাবনা থেকে জানান, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক যুবক নিহত হয়েছে। পুলিশের দাবি নিহত ব্যক্তি একাধিক মামলার পলাতক আসামি ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী। নিহত যুবকের নাম তানজিব। মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় সদর থানার চর শিবরামপুর বেড়িবাধস্থ বটতলার মোড় নামকস্থানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, রামচন্দ্রপুর বাবু শেখের ছেলে তানজিবকে মঙ্গলবার রাতে লাইব্রেরি বাজার থেকে আটক করা হয়। তাকে নিয়ে চর শিবরামপুর বেড়িবাঁধস্থ বটতলার মোড় নামক স্থানে পৌঁছামাত্র তার সহযোগী অবৈধ অস্ত্রধারী পুলিশের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ শুরু করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে তানজিব কৌশলে পালিয়ে যায়। পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় ১০-১২ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। দুষ্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রায় ২৫-৩০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ৩৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করতে করতে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তানজিবকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
×