ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধভাবে চিংড়ি রেণ আহরণ, ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণী

প্রকাশিত: ০১:৩৩, ৯ জুলাই ২০২০

অবৈধভাবে চিংড়ি রেণ আহরণ, ধ্বংস হচ্ছে জলজ প্রাণী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মীরসরাই, ৮ জুলাই ॥ মাছের পোনা দেশের সোনা। কিন্তু এই সোনাসহ জলজ প্রাণীকে ধ্বংস করছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। মীরসরাই উপজেলার উপকূলীয় জোন ও ফেনীর সোনাগাজী মধ্যবর্তী এলাকার সমুদ্র উপকূলীয় ফেনী নদীর বিভিন্ন স্থান ও সাগরের মোহনায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধভাবে অবাধে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু আহরণ। রেণু আহরণ করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ধ্বংস হচ্ছে হাজারো প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। সরেজমিনে দেখা যায়, নিষিদ্ধ মশারি ও ঠেলা জাল দিয়ে জেলেরা লাখ লাখ চিংড়ি রেণু আহরণ করে বিক্রি করছে স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে। ব্যাপারীরা সেগুলো দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে খুলনা, বাগেরহাট ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। ফেনী নদীর মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের মীরসরাই এর সাহেরখালী, ডোমখালী, ইছাখালী, বানচন্দ খাল পর্যন্ত এব ছোট ফেনী নদীর কাজীর হাট স্লুইস গেট থেকে দক্ষিণে সন্দ্বীপ চ্যানেল, ফেনী নদীর মুহুরী রেগুলেটরের দু’পাশে, চর খোন্দকার, সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের জেলেপাড়া, সুজাপুর, থাক খোয়াজ লামছি, ছোট স্লুইস গেট, ভাঙ্গাবেড়ী, চর খোয়াজের লামছিসহ বেশ কিছু স্থানে গিয়ে চিংড়ির আহরণ ও মৎস্য প্রজাতির এ ধ্বংসলীলা দেখা যায় প্রতিবছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত। অথচ প্রজনন মৌসুম থাকায় এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতি রয়েছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা। বিশাল উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। এতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মীরসরাই ও সোনাগাজী উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েক শত মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করছে। মীরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ বলেন, চিংড়ির রেণু পোনা ধ্বংস করা অবৈধ, যদি কেউ এভাবে করে থাকেন, তাহলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
×