ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রী, টিকা গবেষকদের সহায়তা দিন

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ৯ জুলাই ২০২০

প্রধানমন্ত্রী, টিকা গবেষকদের সহায়তা দিন

এতদিন যাবত আমি ভাবছিলাম, আমাদের মেধাবী তরুণ প্রজন্ম থেকে কোন একটি গবেষক গোষ্ঠী কখন আত্মপ্রকাশ করবে এবং করোনাভাইরাসকে পরাভূত করার মতো কোন ওষুধ আবিষ্কার করবে, অথবা টিকা আবিষ্কার করবে। আমি নিজে যেহেতু শিশু শিক্ষা, শিশু বিকাশ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা করেছি, সেজন্য আমি জানি যে, গবেষক কখনোই তার গবেষণা চলতে থাকা অবস্থায় যখন কোন সুনির্দিষ্ট ফল বা উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়েছে, ততক্ষণ তার গবেষণার তথ্যটি প্রকাশ করে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে শিশু হাসপাতালের একটি টিম যখন আমাদের দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করল, তখন সেটি সমাপ্ত হবার পরই জনসম্মুখে প্রকাশ করেছে! এটাই স্বাভাবিক। যশোর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএসআইআরসহ বেশ কটি সংস্থা করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স বের করে তারপর জানিয়েছে। আমার বিশ্বাস, কোন না কোন প্রাণ-রসায়ন বা অণুজীব বিজ্ঞান অথবা ভায়রোলজিতে পড়াশোনা করা মেধাবী গবেষক দল হয়তো কোন ওষুধ অন্তত ‘রেমডিসিভির’ চাইতে অনেক বেশি ভাল করোনাভাইরাস নির্মূলে বা দমনে কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারের ঘোষণা দেবে। আজকাল যেহেতু অনলাইনে নানা দেশের গবেষক দলের সঙ্গে তথ্য-উপাত্ত আদান-প্রদান করা যায় এবং যে কাজটি মুহূর্তে করা সম্ভব, সেই প্রযুক্তির অতি আধুনিক সময়ে দেশে দেশে বর্তমান মহামারীকে রুখতে সহযোগিতা করার ঐক্যবদ্ধভাবে গবেষণা করার এখন সুবর্ণ সময়। তবে, চিকিৎসা বা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা বিশেষত যেটার বাণিজ্যিক ব্যবসায়িক একটি দিক থাকে, এ ক্ষেত্রের গবেষণাকে ভীষণ প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দেয়। যাতে অনেক সময় গবেষক হত্যার শিকারও হয়েছে। মহাজাগতিক বিষয়, কৃষ্ণগহ্বর বা নতুন গ্রহসদৃশ বস্তুর আবিষ্কার ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা শত্রুমুক্ত থাকে। কেননা, এসব ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ব্যবসায়িক কোন বিষয় তেমন সংযুক্ত থাকে না। কিন্তু টিকা বা ওষুধ অবশ্যই গভীরভাবে বাণিজ্যিক সূত্রে বাঁধা। আমাদের দেশের এই গবেষক দল, যারা দেশে করোনার প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কারের প্রথম স্তর পেরিয়ে এখন আরও তিন-চারটি স্তরের ট্রায়ালের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেনÑ তাদেরকে একটি বড় অভিনন্দন জানাই। তাদের আগে অক্সফোর্ড, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতের টিকা যদি তাদের টিকা সাধারণের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে বাজারে নিয়ে আসে, তবু আমরা আমাদের স্বদেশী টিকাটি পেতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব। কিন্তু আমি ভীত, অন্য একটি দিক থেকে টিকার ট্রায়াল পরিচালনা বাধার সম্মুখীন হবে কিনা তা ভেবে। কেননা, সত্যি বলতে, গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিট, যেটি এ্যান্টিজেন ও এ্যান্টিবডি পরীক্ষার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল, পরে শুধু এ্যান্টিবডি টেস্টের কথা বলা হয়, সেটির অনুমোদন নিয়ে যেসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে এবং অনুমোদনদানকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের আচরণ দেখে ভয় হয় এমন কি, বঙ্গবন্ধু হাসপাতালের পরামর্শও মানা হয়নি, এক কথায় কিটটিকে বাতিল করল ঐ সংস্থার কর্মকর্তারা। ওদেরকে এসব অতি গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছে কারাÑ মনে প্রশ্ন না জেগে পারে না। ঠিক এরকম ডেসা, ডিপিডিসি সংস্থায় বসে আছে অনেক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, দেশের অগ্রগতি বিরোধীদের একটি দল! কিছুতেই তারা বিদ্যুতের এত উৎপাদনে খুশি নয়, বরং ক্ষুব্ধ। তাই নানারকম জনস্বার্থবিরোধী কাজ না করে তারা শান্তি পায় না। ভাবছি, দু’হাজার নয় থেকে এখন ২০২০ পর্যন্ত এগারো বছরেও ওরা অবসরে যায়নি। হয়তো কেউ গেছে, এসেছে ঐ একই বিএনপি-জামায়াত পন্থার দেশবিরোধী প্রেতাত্মার দল! রূপকথার দানব-ডাইনির প্রাণভোমরার এক বিন্দু রক্ত থেকে হাজার হাজার দানব-ডাইনির জন্ম হয়। সে জন্য প্রাণভোমরারই প্রাণ হরণ করতে হয় দানব-ডাইনির হাত থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করার জন্য! আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে রূপকার্থে এটি এখনও অর্থপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক! তা না হলে স্বদেশের স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরও ধারণাতীতভাবে আমরা প্রতিটি পেশাজীবীর মধ্যে এখনও মুক্তিযুদ্ধ, স্বদেশের উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধপন্থী সরকার বিরোধিতা দেখতে পাই, যা অন্য কোন দেশে অকল্পনীয়! আমার মনে হয় ঐ স্বাস্থ্য উপকরণ বা ওষুধ ইত্যাদির অনুমোদনদানকারী সংস্থাটির কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বদেশের তৈরি স্বাস্থ্য উপকরণের প্রতি রয়েছে চরম বিতৃষ্ণা। এদের পরিবর্তন করা আশু প্রয়োজন। একটি উদাহরণই তো যথেষ্টÑ ডাঃ জাফরুল্লাহ মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তার উদ্যোগেই কিন্তু এরশাদ আমলে বহু অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাদ দিয়ে একটি জনবান্ধব জাতীয় ঔষধনীতি প্রণীত হয়েছিল, যেটি এখনও আমাদের রক্ষাকবচ হয়ে আছে। তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের গবেষকদের তৈরি করোনাভাইরাস দ্রুত পরীক্ষার কিটটি নিয়ে যে অগ্রহণযোগ্য আচরণ প্রদর্শন করেছে, তাতে সত্যিকার অর্থে আমি এই করোনার টিকা ঐ একই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কতটা আনুকূল্য পাবেÑ তা ভেবে শঙ্কিতবোধ না করে পারছি না! প্রধানমন্ত্রীকে এই দেশীয় গবেষকদের দ্বারা উদ্ভাবিত করোনা টিকাটিকে এর আরও চার-পাঁচটি স্তর দ্রুত অতিক্রম করতে সাহায্য-সহযোগিতা করতে হবে। অন্তত আমরা যদি বিদেশের সঙ্গে কাছাকাছি সময়ে টিকাটি ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় নিয়ে আসতে পারি, তাহলে এটি তো দেশের ও জাতির জন্য বড় সম্মানের বিষয় হবে। এ সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইইডিসিআরসহ সব সংস্থাকে টিকা তৈরিতে রত দেশীয় গবেষকদের সর্বতোভাবে সহায়তা করতে অনুরোধ করব। মনে পড়ছে একটি টক শোতে গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত কিটটি নিয়ে আলোচনাকালে স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছিলাম দু’একজন চিকিৎসকের অতি গম্ভীর মলিন বদন! অথচ দেশে এমন কিট তৈরি হবার জন্য আনন্দিত হওয়ার কথা। সেজন্য বলতে চাইÑ পেশাগত ঈর্ষা করোনার বর্তমান দুনিয়া ধ্বংসকারী ভূমিকার সময় যেন সক্রিয় না হয়। আইইডিসিআর একটি গবেষণা সংস্থা বলে শুনেছি। তারা এই গবেষকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে, তবে নিশ্চয়ই বাধা দেবে না। এ প্রসঙ্গে বলছিÑ আমার একটি গবেষণা (এ্যাকশন রিসার্চ) এর আন্তর্জাতিক রিপোর্ট, একজন ব্রিটিশ মহিলা যিনি আমার বস ছিলেন, তার বাধার কারণে যে কন্সালটেন্ট ঐ রিপোর্ট লিখতে এসেছিলেন, তিনি রিপোর্টটি না লিখে ফিরে যান। অবশ্য, আমাকে বলে যান। এরপর ঐ মহিলা বাংলাদেশে ব্রিটিশ ফান্ডেড কোন সংস্থায় যাতে আমি কাজ করতে না পারি ইউকে এইডসহ, এমনকি এনসিটিবি, যেটি আমার কর্মক্ষেত্র ছিল, সেটিতেও এবং ইউনিসেফএও বাঙালী পদলেহীদের বাছাই করে নিয়ে তাদের দিয়ে আমাকে ‘ভাতে পানিতে’ মারার স্থায়ী বন্দোবস্ত করেছে, যা এখনও চলমান আছে। ভাগ্যে সরকারী পেনশন পাই! এই বৃত্তান্ত আমার আত্মকথা, ২০২০-এ প্রকাশিত বইটিতে বিশদ লিখেছি। এই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে আমার এই ভয় ও আশঙ্কা। তাছাড়া, সদ্য গণস্বাস্থের কিট নিয়ে যা হয়েছে, তাও মোটেও আশ্বস্ত করে না, বরং দুশ্চিন্তায় ফেলে। আরেকটি বিষয়ে না বললেই নয়। গতকাল মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার টকশোতে দাবি করলেন মেডিক্যাল কলেজে করোনার এবং আইসিউর অনেক, শতাধিক সিট খালি আছে! কিন্তু গতকালের কাগজেই দেখলাম, মাকে নিয়ে কোভিড ডেডিকেটেড মুগদা হাসপাতাল থেকে ভর্তি হতে না পারা মা ও ছেলে অন্য হাসপাতালে যাত্রা শুরু করেছে! ছবিও দেয়া আছে! এর একটি কারণ মনে হয় হাসপাতালের দুয়ারে দাঁড়ানো প্রহরীকে উর্ধতন কেউ এ ধরনের নির্দেশ দিয়ে রেখেছে। যে কারণে ভেতরে খালি সিট, অথচ বাইরে রোগী হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরছে! গলাকাটা ফি নিচ্ছে বেশ কিছু বেসরকারী হাসপাতাল। দেখলাম এক পিস পাউরুটির দাম এক হাজার টাকা! বিশ্বাস করিনি। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রত্যাখ্যাত মা-ছেলেকে তো দেখতে পেলাম! যাহোক, এই হাসপাতালে হাসপাতালে ঘোরাঘুরির ভয়ে অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে ঘরে থেকে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছেনÑ এটাও ঘটছে। ডাক্তার বা রোগী কিভাবে বুঝবে যে শুধু জ্বর, সর্দি, কাশি ক্রমে ১৫-২০ দিন পর জটিল ব্লাডক্লট তৈরি করে হার্ট এ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোকের মতো অবস্থার রোগীকে ঠেলে দেবে না? আমরা দেখতে পাচ্ছিÑ তরতাজা সাহসী তরুণ ডাক্তার ত্রিশ দিনের মাথায় প্লাজমা, হাই ফ্লো অক্সিজেন পেয়েও প্রাণে বাঁচতে পারেনি! তিনি না হয় হাসপাতাল পেয়েছেন, যারা ভর্তি হতে পারছেন না, তাদের অবস্থা যদি জটিল হয়ে ওঠে তখন হাসপাতাল ভর্তি নিতে চায় না, নিলেও তার বাঁচা সম্ভব হয় না! তাহলে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে পারবে যারা, তাদেরকে শনাক্ত করা যেহেতু সম্ভব নয়, সেহেতু সবাইকে শুরুতেই আইভারমেকটিনসহ অন্যান্য ওষুধ দেয়া সঙ্গত বলে মনে হয়। রোগটা জটিলের দিকে তাহলে আর যাবে নাÑ এমনই বলেছেন একজন বক্ষ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ। সব কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের জন্য একটি পরামর্শÑ আপনাদের প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত হবে মূল দরজার পাশে বাইরে একটি বোর্ডে প্রতিদিন কোভিড ১৯ রোগীদের জন্য বরাদ্দ সিটের মোট কতগুলো খালি আছে এবং আইসিইউ বেড মোট কয়টি খালি আছে, তার সংখ্যাটি প্রকাশ করা। হাতে লিখেই হতে পারে। কারণ, একটি স্থান থেকে কোন হাসপাতালে কত সিট খালি আছে, তা জানানো যেহেতু সম্ভব হচ্ছে না, সে ক্ষেত্রে অন্তত প্রত্যেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সঠিক খালি বেড সংখ্যা জানিয়ে একটি বোর্ডে তথ্যটি জানাবে, যেটি প্রতিদিন বা দু’দিন অন্তর আপডেট করবে। সংবাদপত্রগুলোও এই সরকারী ৯/১০টি কোভিড হাসপাতালের ভর্তির জন্য খালি সিটের সংখ্যার দৈনন্দিন চিত্রটি প্রকাশ করলে জনগণ, ভুক্তভোগী তথ্যটি জেনে উপকৃত হবেন। হাসপাতালের কেউ অনাবশ্যক বাধা দিতে পারবে না। স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বলছিÑ দয়া করে সরকারী-বেসরকারী সব হাসপাতালকে কোভিড-১৯ রোগীর জন্য বরাদ্দ খালি সিটের মোট সংখ্যাটি প্রতিদিন হাসপাতালে ঢোকার মুখে দেয়ালে বোর্ডে প্রকাশ করবার নির্দেশ দেয়া হোক। এটি দিয়ে জনগণকে ভোগান্তি থেকে সহজেই রক্ষা করবার ব্যবস্থা করতে পারেন। ফলে আপনাদের কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠবে এবং প্রাপ্য সম্মানও লাভ করবেন। তাছাড়া, সত্যিকার তথ্য, অর্থাৎ কোন হাসপাতালে কত সিট খালি আছে এ তথ্য জানবার অধিকার আমাদের সবার আছে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অন্য একটি সমস্যার প্রতি। খেয়াল করে দেখছি করোনা রোগের ভীতির মধ্যে যেমন খুন, ধর্ষণ কমেনি, শিশু ও বধূ হত্যা কমেনি, তেমনি এই রোগের আড়ালে একদল হিন্দু বিদ্বেষী, জঙ্গী বা উগ্র ধর্মান্ধ শ্রেণী এবং হিন্দুর জমি গ্রাসে তৎপর ব্যক্তি গোষ্ঠী পর পর বেশ ক’জন হিন্দু তরুণকে হত্যা করেছে। স্বভাবতই পুলিশ দিয়ে যেমন ফরিদপুরের বৃদ্ধের একমাত্র যুবক পুত্রকে মেরুদ- ভেঙ্গে হত্যা করেছে, তেমনি এমন একাধিক তরুণকে বলা হচ্ছে, দুর্বৃত্তেরা হত্যা করেছে! এদের উদ্দেশ্য হিন্দু পরিবারকে উত্তরাধিকারীহীন করা, যা গ্রামে-মফস্বলে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। বিগত নির্বাচনের সময় বারংবার যেহেতু নির্বাচনে হিন্দু সংখ্যালঘুপাড়া আক্রান্ত হয়, সেটি বন্ধ করার লক্ষ্যে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও মানবাধিকার সংস্থা একযোগে কাজ করেছিল, যাতে প্রধান শর্ত ছিল পাড়ায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন এবং স্থানীয় নির্মূল কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি করা যুবকরা পাহারা দেয়ার বন্দোবস্ত করা। এখন মানবাধিকার সংস্থাটি নীরব কেন? তাদের কোনরকম তৎপরতা দেখতে পাচ্ছি না। করোনার আড়ালে যে সংখ্যালঘু আক্রান্ত হচ্ছেÑ সেটি তৎক্ষণাৎ ঐ এলাকায় পুলিশসহ র‌্যাব ও অন্যদের সহায়তা নিয়ে ঐ অশুভ শক্তিকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। অনেক হিন্দু গ্রামে নিরাপত্তাহীনতার জন্য নিজের বাড়ি যেতেও সাহস পান না। প্রধানমন্ত্রী জানেনÑ একমাত্র বাংলাদেশের হিন্দুরা অতি কম সংখ্যক সন্তান গ্রহণ করে, যা অন্য দেশের মাইনরিটিদের বিপরীত প্রবণতা! ওদের পাশে দাঁড়ান। নতুবা বাংলাদেশের চরিত্র বদলে যাবে। লেখক : শিক্ষাবিদ
×