ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসবে পশুর হাট

সিটি কর্পোরেশন গরু জবাইয়ের দায়িত্বে

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ৯ জুলাই ২০২০

সিটি কর্পোরেশন গরু জবাইয়ের দায়িত্বে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ এবার থেকে সিটি কর্পোরেশন গরু জবাইয়ের দায়িত্ব নেবে। গরু জবাইয়ের পর তারাই বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। এখানে কাউকে আসতে হবে না। এজন্য পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে। অন্যান্য সময় কোরবানিতে যেভাবে পশুর হাট বসে এবার সেভাবে বসবে না। রেললাইনের পাশে তো বসবেই না। এবার গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে মাস্ক পরতে হবে, হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। সামনে সাবান-পানি থাকবে। গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্রয়-বিক্রয় করবে। এভাবে আমরা একটা সিস্টেমের মধ্যে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি। করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে সচিবালয় গণমাধ্যম কেন্দ্রে আয়োজিত বিসিএস-৮৫ফোরাম সহ-সভাপতি এবং ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষ সচেতন হলে এডিস মশা রোধে ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। বাকি ১০ শতাংশ হলো সিটি কর্পোরেশনের কাজ। যে সকল ভবনে পানি জমানো রয়েছে, সেখানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। জরিমানা করা হচ্ছে, সতর্ক করা হচ্ছে। এরপর করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সদস্যদের সুরক্ষা সামগ্রী দিল বিসিএস-৮৫ ফোরাম। বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের কাছে মাস্ক তুলে দেন বিসিএস-৮৫ ফোরাম সভাপতি ও সাবেক সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন এবং সহ-সভাপতি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা যেহেততু ফ্রন্টলাইনে কাজ করেন, সব জায়গায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেন। এজন্য বিসিএস ৮৫ ফোরামের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছি। সদস্যদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রী দেয়ায় বিসিএস ৮৫ ফোরামের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাস। এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে অন্যান্য সময় যেভাবে হাটবাজার বসে এবার সেভাবে হাটবাজার বসবে না। রেললাইনের পাশে তো বসবেই না, এবার গরুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষকে মাস্ক পরতে হবে, হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে। সামনে সাবান পানি থাকবে। গরুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দূরত্ব মেনে ক্রয়-বিক্রয় করবে। এভাবে আমরা একটা সিস্টেমের মধ্যে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি। হেলালুদ্দীন আরও বলেন, আমরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত করছি অনলাইনে গরু কেনার জন্য। গরুর মালিক যাতে ঘরে বসে গরুটি বিক্রি করতে পারেন। যিনি কিনবেন তিনি যাতে তার (বিক্রেতার) বাসায় যেতে পারেন। টাকা-পয়সা ক্রেডিট কার্ড হোক, বিকাশ হোক এভাবে যদি লেনদেন করা যায় তবে ভাল। এটাই আমরা সব জায়গায় প্রোমোট করছি। গরু জবাই প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আরেকটি জিনিস করছি যাতে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্দিষ্ট জায়গায় গরুগুলো জবাই হয়। সিটি কর্পোরেশন গরু জবাইয়ের দায়িত্ব নেবে। গরু জবাইয়ের পর তারা বাড়িতে পৌঁছে দেবেন, এখানে কাউকে আসতে হবে না, এজন্য পারিশ্রমিক প্রদান করতে হবে। এই বিষয়গুলো আমরা ভেবেছি। যেখানে সেখানে গরুর হাট না বসানোর জন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। হেলালুদ্দীন আরও বলেন, এগুলো আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য নিজেরা এ বিষয়ে সভা করবে। পরে আমরা আবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে তা সবাইকে জানিয়ে দেব। ডেঙ্গুর বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এডিস মশা রোধের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ হল মানুষের সচেতনতা, আরও ১০ শতাংশ হলো সিটি কর্পোরেশনের কাজ। সেই সচেতনতার জন্য প্রতিদিনি টেলিভিশন ও রেডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। যেসব ভবনে জমানো পানি রয়েছে, সেখানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে, জরিমানা করা হচ্ছে, সতর্ক করা হচ্ছে। করোনার আতঙ্কের মধ্যে যদি আবার ডেঙ্গু আসে তবে আতঙ্ক আরও বেড়ে যাবে। তাই এভাবে এটি আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। জুলাই মাস এ পর্যন্ত এখনও ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করিনি- বলেন হেলালুদ্দীন আহমদ। এ সময় বিসিএস-৮৫ ফোরাম-এর পক্ষ থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ও আল-মারকাজুল ইসলামকে সুরক্ষা সামগ্রী ও অর্থের চেক হস্তান্তর করা হয়।
×