ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্যবিধি না মানার হতাশাজনক চিত্র

প্রকাশিত: ২২:৫৯, ৯ জুলাই ২০২০

স্বাস্থ্যবিধি না মানার হতাশাজনক চিত্র

শংকর কুমার দে ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই জীবন-জীবিকার জন্য সরকারের দেয়া গাইড লাইন মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তৈরি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। করোনাভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধে জীবন ও জীবিকা বাঁচানোর জন্য সরকারের মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়ন বিষয়ে অনুসন্ধানে যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা রীতিমতো হতাশাব্যঞ্জক। সরকারের দীর্ঘ ছুটির অবসান ঘটিয়ে নিম্নবিত্ত ও খেটেখাওয়া মানুষের কর্মহীন, রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে হাহাকার তৈরি হচ্ছিল তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য শর্তসাপেক্ষে খুলে দেয়া হয় গার্মেন্টস, অফিস, গণপরিবহন, শপিং মল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র সরকারের গাইড লাইন মেনে জীবন-জীবিকা চালানোর চিত্র কোথাও নেই গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে। আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে-পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে গোয়েন্দা সংস্থার দাবি। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে দীর্ঘ সময় সাধারণ ছুটি কাটানোর পর করোনা পরিস্থিতিতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য নানা উদ্যোগ নেয় সরকার। গত পবিত্র রোজার ঈদের প্রাক্কালে প্রথমে গার্মেন্টস, তারপর একে একে খুলে দেয়া হয় অফিস, শপিং মল, গণপরিবহনসহ সবকিছুই। গত ২৬ মার্চের পরবর্তী সময়ে নিম্নবিত্ত ও খেটেখাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে হাহাকার তৈরি হচ্ছিল তা থেকে বেরিয়ে আসতেই দীর্ঘ বিরতির পরে শর্তসাপেক্ষে সরকারের এই উদ্যোগ। কিন্তু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও কি মানা হচ্ছে সেসব শর্ত ? সেই সঙ্গে কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসছে। তখন করোনাভাইরাস সংক্রমণের কি হবে ? গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে রাজধানীর কয়েকটি স্থানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর পুরনো ঢাকা, গুলিস্তান, ফার্মগেট, ধানম-ি, তেজগাঁও, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ বিভিন্নস্থানে গেলে দেখা যাবে সামাজিক দূরত্ব বলতে কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই। মাস্ক পরে অনেককেই বের হতে দেখা যায় না। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের চিত্র অনুপস্থিত। এ ছাড়া দেশের সকল স্থানের কাঁচাবাজারে মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার কোন কিছুই মানা হচ্ছে না। এতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চারণক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার করুণ পরিণতির চিত্র উঠে এসেছে।
×