ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪৮৯

প্রকাশিত: ২২:৫৮, ৯ জুলাই ২০২০

করোনায় আরও ৪৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪৮৯

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪৬ জনের মৃত্যু এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৩৪৮৯ জন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১৯৭ জন এবং মোট অক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ২৭৩৬ জনসহ এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৮০ হাজার ৮৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৭২টিসহ এপর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮ লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ এবং আট জন নারী। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে পুরুষ এক হাজার ৭৪১ জন এবং নারী ৪৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, বরিশাল বিভাগে তিন জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন, খুলনা বিভাগে ৯ জন, সিলেটে চার জন এবং রংপুরে এক জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং বাসায় মৃত্যুবরণ করেছেন আট জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন। নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৭৯২ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০৯ জন, এখন পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৮৭ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশন করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১৪৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইন মিলে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৬৯১ জনকে। এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড় পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ২১ হাজার ৩০১ জন। বর্তমানে মোট কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬২ হাজার ৯৯৮ জন। ডাঃ নাসিমা সুলতানা আরও জানান, দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছয় হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২। আর দেশের ৬৪ জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে। অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, লিঙ্গভেদে শনাক্তের হার পুরুষ ৭১ শতাংশ এবং নারী ২৯ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ১১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৭ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছরের ২৮ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের ৭ শতাংশ এবং ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৩ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, এখন পর্যন্ত মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বয়সী ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ১০ বছরের নিচে শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ। অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা বলেন, ঢাকা মহানগরীতে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে ১৬টি এবং মহানগরীর বাইরে ঢাকা জেলায় একটি। ঢাকা মহানগরে কোভিড রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা ছয় হাজার ৭৭৩ এবং আইসিইউ বেড রয়েছে ১৮০টি। রোগী ভর্তি রয়েছেন দুই হাজার ৩৭৫ জন এবং আইসিইউতে রোগী রয়েছেন ৯৭ জন। সব বিভাগ মিলিয়ে সাধারণ শয্যা সংখ্যা ১৪ হাজার ৬১০টি এবং আইসিইউ রয়েছে ৩৭৯টি। সব বিভাগে রোগী ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৬৯১ জন, আর আইসিইউতে রয়েছেন ১৮৩ জন। সব হাসপাতালেই রোগী ভর্তি হতে পারবেন কারণ অনেক শয্যা খালি রয়েছে। সব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে মোট ১০ হাজার ২৪০টি, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানেলা ৮০টি এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ৫৫টি।
×