ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মাঠে নেমেছে দুদক পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে তলব অভিযুক্তরা ছাড় পাবে না

সরকার কঠোর ॥ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি

প্রকাশিত: ২২:৫৫, ৯ জুলাই ২০২০

সরকার কঠোর ॥ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি

মশিউর রহমান খান ॥ করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার। স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে জিরো টালারেন্স ঘোষণা করা হয়। এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবার মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন হাসপাতালের জন্য এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ সুরক্ষামূলক বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণার দায়ে বুধবার সংস্থাটি অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার এই দুর্যোগে স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি অমানবিক। যারাই এর সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরই শুরু হয় বিভিন্ন প্রকল্পে স্বাস্থ্য সামগ্রী ক্রয় নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত। স্বাস্থ্য অধিদফতর ও হাসপাতালগুলোর নিজ নিজ তদন্তের পাশাপাশি এবার তদন্ত শুরু করে দুদক। প্রাথমিক তথ্য যাচাইয়ের জন্য দুদক সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এরপর পহেলা জুলাই দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী অভিযোগে আসা ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ সম্পর্কে অনুসন্ধানের জন্য দুই ভাগে ৮ ও ৯ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদ করতে মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে নোটিস দিয়ে তলব করেন। দুদকের পাঠানো নোটিসে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তারা কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহ করেন। এর মাধ্যমে তাদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বক্তব্য শোনা এবং গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। তলবের নোটিস পাওয়া পাঁচ ঠিকাদার হচ্ছেনÑমেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মতিউর রহমান, এলান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবির এবং ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। এরমধ্যে আবদুর রাজ্জাক, মতিউর রহমান ও আমিনুল ইসলাম আমিনকে ৮ জুলাই এবং হুমায়ুন কবির ও মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুকে ৯ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে রেকর্ডপত্রসহ বক্তব্য দেয়ার জন্য তলব করা হয়। চিঠিতে নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য করা হবে, জানানো হয়। করোনার এ সময়ে মাস্ক বা পিপিইর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত যেই হোক তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গতি পায়। বুধবার তলব করা তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক, তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মোঃ মতিউর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। বাকিজন এলান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলাম আমিন দুদকের ডাকে সাড়া দেননি। এ বিষয়ে দুদকের পক্ষ থেকেও কোন প্রকার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তমা কনস্ট্রাকশন এ্যান্ড কোং লিমিটেডের সমন্বয়কারী মতিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, চুক্তি অনুযায়ী আমাদের মোট তিন লাখ মাস্ক সাপ্লাই দেয়ার কথা। এর মধ্যে মাত্র হাতেগোনা ৬০ টি মাস্ক গোনায় কম হয়েছে। এ নিয়ে কোন প্রকার দুর্নীতি হয়েছে বলা যাবে না। এছাড়া অপর ঠিকাদার মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদেরকে কিছু বলতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমার যা বক্তব্য দুদককে বলেছি। তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। উল্লেখ্য, সরকার দেশে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এ্যান্ড প্রিপেয়ার্ডনেস প্রকল্প ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণে কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি এ্যাসিস্ট্যান্ট নামে দুটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব অনুযায়ী এ দুটি প্রকল্পেই ভয়াবহ অভিযোগ পাওয়া যায়। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর পরই গত মার্চ মাসে সরকারের কেন্দ্রীয় ঔষাধাগার থেকে সরবরাহ করা এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিইসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রীর মান নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। রাজধানীর কোভিড চিকিৎসার জন্য মুগদা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করে। অভিযোগে বলা হয়, প্যাকেটে এন-৯৫ লেখা থাকলেও ওই হাসপাতালে নিম্নমানের মাস্ক এবং পিপিই দেয়া হয়েছে। তখন ব্যাপক আলোচনার মুখে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ২১ এপ্রিল একটি কমিটি করার কথা জানায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তবে তদন্ত করলেও তার ফল প্রকাশ করেনি। সূত্র জানায়, সরকার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স এ্যান্ড প্রিপেয়ার্ডনেস শীর্ষক প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে ৮৫০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হচ্ছে। পাশাপাশি কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি এ্যাসিস্ট্যান্ট শীর্ষক প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ থেকে ৮৫০ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় এক লাখ সেফটি গগলস কেনা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি সেফটি গগলসের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। অথচ বর্তমানে বাজারে প্রতিটি সেফটি গগলস বিক্রি হচ্ছে ৫শ’ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায়। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় মোট এক লাখ সাত হাজার ছয় শ’ পিপিই কেনার কথা বলা হয়েছে এবং প্রতিটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৭০০ টাকা; যেখানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ভালমানের পিপিই বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১ থেকে ২ হাজার টাকায়। এর বাইরে ইনোভেশন খাতসহ প্রকল্পের ওয়েবসাইট উন্নয়ন, ডাটাবেজ তৈরি, কম্পিউটার সফটওয়্যার ক্রয়, গবেষণা ও উন্নয়ন, অনাবাসিক ভবন, অডিও-ভিডিও ফিল্ম তৈরি, সেমিনার ও কনফারেন্স, ভ্রমণ ব্যয় খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাব করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের অন্যতম হলো স্বাস্থ্য খাত। তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত সর্বত্রই চলছে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা। মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটা, নিয়োগ, পদায়ন, বদলিসহ এমন কোন কাজ নাকি নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। করোনার এ দুঃসময়ে নাগরিকদের রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রাখলেও বাস্তবে সঠিকভাবে তার প্রতিফলন ঘটছে না। যার অন্যতম কারণ স্বাস্থ্য খাতে বিরাজমান ভয়াবহ দুর্নীতি। বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গড়ে তুলেছে সম্পদের বিশাল পাহাড়। দুদক সূত্র জানায়, করোনার স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে ভয়াবহ অভিযোগ আসার প্রেক্ষিতে দুদক গত ১০ জুন সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে এক জরুরী বৈঠকে করোনাকালে এন-৯৫ মাস্ক, পিপিইসহ বিভিন্ন সুরক্ষামূলক সামগ্রী ক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রতারণা বা জালিয়াতির অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এর পর ১৫ জুন অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ সুরক্ষামূলক বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির হোতাদের ধরতে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে উপপরিচালক নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমানকে নিয়ে চার সদস্যের টিম গঠন করা হয়। অভিযোগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) কর্তৃপক্ষ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এন-৯৫-এর মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে এন-৯৫ মাস্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটার দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপর দুই হাসপাতালের পরিচালকদের তাদের কর্মস্থল থেকে নানা কারণ দেখিয়ে চিঠি দেয়ার কারণে অন্যত্র বদলি করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এর ফলে আরেক দফা সমালোচনার মুখে পড়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে দুদকের টিম ২১ জুন দুদক আইন- ২০০৪ ও দুদক বিধিমালা-২০০৭ অনুসারে দুর্নীতির অনুসন্ধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিন সংস্থায় তথ্য ও রেকর্ডপত্র চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়,স্বাস্থ্য অধিদফতর ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ও সংশ্লিষ্ট পরিচালক বরাবর বিশেষ বাহক মারফত চিঠি পাঠায়। মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে-কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি/যন্ত্রপাতি (মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার, আইসিইউ যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, পিসিআর মেশিন, কোভিড টেস্ট কিট ও অন্যান্য) ক্রয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গৃহীত প্রকল্পসমূহের নাম, বরাদ্দকৃত ও ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ এবং বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়/স্বাস্থ্য অধিদফতর/সিএমএসডি) তথ্য চাওয়া হয়। এছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডসহ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি দিতে বলা হয়। চিঠিতে গত ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে যেসব ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছে তাদের নাম, পদবি, বর্তমান কর্মস্থল, পূর্ববর্তী কর্মস্থল, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের কাছেও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। ৩০ জুনের মধ্যে চিঠিতে উল্লিখিত তথ্য ও রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানায় দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, করোনার এ সময়ে মাস্ক বা পিপিইর মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, মাস্ক বা পিপিইর মতো গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই এসব সুরক্ষা সামগ্রীর ক্রয় দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আমরা এ খাতে সংঘটিত দুর্নীতি অনুসন্ধানে একটি পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করতে চাই। অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি, এসব ক্ষেত্রে অপরাধীদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোন পরিচয় কমিশন ন্যূনতম গুরুত্ব দেবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে।
×