ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাভাবিক লেনদেনের সময়ে শেয়ারবাজারে উর্ধগতি

প্রকাশিত: ২০:০৮, ৮ জুলাই ২০২০

স্বাভাবিক লেনদেনের সময়ে শেয়ারবাজারে উর্ধগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনার ভীতি কাটিয়ে সাড়ে তিন মাস পরে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। আলোচিত ফ্লোর প্রাইস না উঠালেও প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে অংশ নিতে দেখা গেছে। মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামলে গত ১৯ মার্চ থেকে শেয়ারবাজারের লেনদেন সময় এক ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়। এর মধ্যে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে শেয়ারবাজার। নানা সমালোচনার পর গত ৩১ মার্চ থেকে আবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত এক ঘণ্টা করে লেনদেন কম হচ্ছিল। ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাই বুধবার থেকে আবার শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হলেই শেয়ারবাজারে উত্থানের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনের শেষ দিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়ে। ফলে ৩১ মে’র পর প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচকের উর্ধগতি দেখা গেছে। সূচকের বড় উত্থান হলেও এদিনও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অবশ্য ডিএসইতে যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে তার থেকে চারগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এর মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর শতাধিক প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ল। এ দিন দরপতন হয়েছে ২৩টির। ২১৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৩৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ্ ৪ পয়েন্ট বেড়ে ৯২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৩১ কোটি ৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৯২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৯ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, এক্সিম ব্যাংক এবং ওয়াটা কেমিক্যাল। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৬টির, কমেছে ১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮৬টির।
×