ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধে ফাঁটল, ৮ পরিবার চরম আতংকে

প্রকাশিত: ২১:৩৯, ৭ জুলাই ২০২০

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধে ফাঁটল, ৮ পরিবার চরম আতংকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর ॥ চাঁদপুর শহর রক্ষা বাধের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় নতুন করে আবারও ফাঁটল দেখা দিয়েছে। যার ফলে ভাঙন এলাকার দু’টি বাড়ীর ৮ পরিবারের লোকজন খুবই আতংকের মধ্যে রয়েছেন। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নবোর্ড। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখাগেছে হরিসভা এলাকার মধু বনিকের বাড়ীর পিছনে প্রায় ২৫ মিটার বাধের পুরনো ব্লক তলিয়েগেছে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীলর কার্যালয়ের কার্যসহকারী হুমায়ুন কবির জানান, হরিসভা এলাকাটিতে পানির গভীর ও ¯্রােত বেশী। এছাড়াও বর্তমানে উজানের পানি নামার কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৯ সালে হরিসভা এলাকায় ভাঙন দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৩ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পালানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তারা জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণ বাজার এলাকায় ১৪শ’৩০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৮শ’ মিটার ঝুকিপূর্ণ। এর মধ্যে পুরাণ বাজার এলাকায় দেওয়ান ঘাট, পুরান বাজার ঠোটা, দোল মন্দির, বাকালি পট্টি, হরিসভা মোড়, বনিক বাড়ী, হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধা নুর বকাউল বাড়ী ও রনা গোয়াল এলাকা রয়েছে। এদিকে গত বছর হরিসভা কমপ্লেক্স এলাকায় ব্যাপক ভাঙনে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। এরপর শিক্ষামন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বললে পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যান। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির হস্তপেক্ষপে ভাঙন প্রতিরোধে এ পর্যন্ত ৯৩ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পালানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বানাথ বনিক জানান, হরিসভা রোডের মন্দিরের পশ্চিম পাশের নগেন্দ্র চন্দ্র বানিক মহাশয় বাড়ী ও অবিনি মোহন বনিক বাড়ীর ২০টি পরিবার ছিলো। গত বছরের ভাঙনে প্রায় ১২টি পরিবারের বসতবাড়ি ঘর ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়। এখন আবার ৮ পরিবার ভাঙনের হুমকিতে। এ দুই বাড়ীর পিছনে গত দু’দিন আগ থেকে পুরনো বাধে প্রায় ২৫মিটার ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার ফলে দুই বাড়ীর দুলাল বনিক, বিশ^নাথ বনিক, শিশির বনিক, অনু দে, লিটন দে, সুভাস দাস, লিটন নন্দী ও সুখরঞ্জন নন্দীর পরিবার এখন আতংকে আছে। স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক সাহা বলেন, নদীতে পানি বেড়েছে। ঢেউ ও ¯্রােত বেশী। পানি এখন রস্তার সমানে সমান। আমাদের ব্যবসা বন্ধ। হরিসভার মূল রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে পুরো এলাকা মেঘনায় তলিয়ে যাবে। চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চল নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির নেতা মমতাজ উদ্দিন মন্টুগাজী জানান, মেঘনার ভাঙন থেকে রক্ষায় আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত বছর হরিসভা এলাকায় বিশাল ভাঙন দেখা দিয়েছিলো। অনেক কাজ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অংশ কাজ করা হয়নি। সেখানেই এখন নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্রুত কাজ না হলে গত বছরের ৫ কোটি টাকার কাজ বিপলে যাবে।
×