নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ করে অভিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে পথসভা ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাগণ।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বালিয়াডাঙ্গী চৌরাস্তা মোড়ে ঘন্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ পথসভায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানগন অংশ নেন।
সভায় বালিয়াডাঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আব্দুস সোবহাননের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের নেতা শংকর কুমার ঘোষ, আমিনুল ইালাম বুলু, মকসেদ আলী, শামীম হোসেন, শচীন্দ্র নাথ বর্মন, মীরানাথ, তোয়াব আলী, সাংবাদিক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
বক্তাগণ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি অফিসার শাফিয়ার রহমানের দূর্ণীতির ফিরিস্থি তুলে বলেন, তিনি উপজেলার বিভিন্ন প্রদর্শনী প্লটের নামে হরিলুট, অধিকাংশ মাঠদিবস পালন না করেই তার টাকা উত্তোলনের পর আত্মসাৎ করেছেন। বোরো মাঠ দিবসে ৫০জন অংশগ্রহনকারী কৃষকের ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধার বরাদ্দ থাকলেও তা প্রদান না করে কৃষি কর্মকর্তা শাফীয়ার প্রকাশ্যে আত্মসাৎ করেন।
বক্তাগণ আরো বলেন, উপজেলায় উৎপাদিত ভুট্রা, গম, লেবু,মাল্টা, বিটিবেগুনসহ বিভিন্ন ফল ও ফসলের প্রদর্শনী না করেই বিল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
শুধু তাই নয় শাফীয়ার রহমান মাস্টার রোলে ড্রাইভার পদে চাকরি দেওয়ার নামে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মিজানুর রহমানকে অর্থনৈতিকভাবে নাজেহাল করেও তাকে একটি পদে নিযোগ না দিয়ে তার মনোনীত একজনকে সে পদে নিয়োগ দিয়েছেন। অথচ স্থানীয় সংসদ সদস্য উক্ত মিজানুর রহমানকে নিযোগ দানের জন্য ডিও রেটার প্রদান করেছিলেন।
বক্তাগণ অভিযুক্ত বালিয়াডাঙ্গী কৃষি অফিসারকে অন্যত্র বদলী করে তার দুর্ণীতি ও অনিয়মের তদন্তপূর্বক দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। অন্যথায় তাঁরা আরো কঠোর আন্দোলনে নামবেন বলে ঘোষণা দেন।
পথসভা শেষে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেড়াও করেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলীপি প্রদান করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল আলম সুমন দুর্ণীতি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।