ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে বন্যায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ৭ জুলাই ২০২০

টাঙ্গাইলে বন্যায় নদী ভাঙ্গন অব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর পানি কমলেও ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি ৬৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নদীর পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে নদীগুলোর পানি কমলেও ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন যমুনা ও ধলেশ্বরী নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর মানুষ। এসব গ্রামের নুরুল ইসলাম, ছামাদ, হযরত আলীসহ আরো অনেকে আক্ষেপ নিয়ে বলেন, নদীতে আমাদের সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমরা নামমাত্র ত্রাণ চাই না। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ চাই। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, বছরের পর বছর আমাদের বসত-বাড়ি নদীর পেটে চলে যাচ্ছে। আমরা সহায় সম্বল হারিয়েছি। অনেকে ৮ থেকে ১০ বার পর্যন্তও নতুন বাড়ি বানিয়েছেন। এছাড়া ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন কবিলতদের অভিযোগ সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা অনেকেই পায়নি। কিংবা পেলেও চাহিদার তুলনায় সেগুলো অপ্রতুল। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ শাখা জানায়, জেলার ৬টি উপজেলায় বন্যার কড়াল থাবা পড়েছে। এর মধ্যে গোপালপুর উপজেলার ৩টি, ভূঞাপুরের ৪টি, কালিহাতীর ৪টি, টাঙ্গাইল সদরের ৫টি, নাগরপুরের ৫টি ও দেলদুয়ারের ৩টিসহ মোট ২৪টি ইউনিয়ন এবং এলেঙ্গা পৌরসভার আংশিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে ১৩৭টি গ্রামের ২৬,৯২২টি পরিবার এবং ১,২৯,১২১ জন ব্যক্তি বন্যায় ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ৫৭২টি বাড়ি নদীতে একেবারে বিলীন এবং ১০৬৫টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নাগরপুরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণ নদীগর্ভে চলে গেছে। ৫০ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ৭ কিলোমিটার পাকা সড়ক, ৩টি কালভার্ট এবং ২.৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার্তদের ২’শ মেট্টিকটন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা এবং ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে জানা যায়, জেলায় ৩৬৮৬ হেক্টর এছাড়া ৩,০৮৬ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
×