নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ ভোলার চরফ্যাসনের বেতুয়া থেকে ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী এমভি কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চে এক কিশোরী যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে নদী লাফিয়ে পড়ার ঘটনার ৩ দিন পর অবশেষে তজুমদ্দিন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ লঞ্চের ৩ ষ্টাফকে আটক করলেও যৌন হয়রানির ঘটনায় লঞ্চের বাবুর্চি গিয়াস উদ্দিন (২৯ ) কে গ্রেফতার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলা ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা যাওয়ার জন্য কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে উঠে পায়ের ময়লা ধোয়ার জন্য লঞ্চের পিছনে টিউবওয়েলে পা ধুয়ে টয়লেটের সামনে দাঁড়ালে লঞ্চের বাবুর্চি হোসেন ওরফে গিয়াস উদ্দিন দুই শত টাকার বিনিময়ে তার সাথে কেবিনে রাত্রি যাপনের কু-প্রস্তাব দেয় । কিন্তু কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামি গিয়াস কিশোরীর হাত ধরে কেবিনে যেতে টানা হেচড়া করেন। ইজ্জত বাঁচাতে কিশোরী তজুমদ্দিন চৌমুহনী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে উদ্ধার না করে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যায়। পরে জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে যৌন হয়রানির শিকার কিশোরীকে রবিবার রাতে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে আসেন। এদিকে এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। তজুমদ্দিন থানার ওসি এস এম জিয়াউল হক জানান, সোমবার সকালে তজুমদ্দিন লঞ্চঘাট থেকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে কর্ণফুলী লঞ্চের স্টাফ শাকিল (১৮), বাবুর্চি গিয়াস উদ্দিন (২৯ ) ও শাকিল (১৯) নামে ৩ জনকে জ্ঞিাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার রাতে যৌন হয়রানির শিকার কিশোরী বাদী হয়ে কর্ণফুলী ১৩ লঞ্চের বাবুর্চি ভোলার চর শিফলী খেয়াঘাট ১নং ওয়ার্ড এলাকার মোঃ তাজল মাঝির ছেলে মোঃ হোসেন ওরফে গিয়াসউদ্দিনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। আজ মঙ্গলবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
