ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাটকল বন্ধ করা পাটখাত ধ্বংস করার শামিল ॥ ওয়ার্কার্স পার্টি

প্রকাশিত: ২২:৩৭, ৭ জুলাই ২০২০

পাটকল বন্ধ করা পাটখাত ধ্বংস করার শামিল ॥ ওয়ার্কার্স পার্টি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাট শিল্পের ভরাডুবির জন্য দায়ী বিজেএমসি নামক মাথাভারি প্রশাসন। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা পাট ক্রয়ে দুর্নীতি, মৌসুমে পাট সরবরাহে অনিয়ম, অসময়ে বেশিদামে পাট ক্রয় এবং উৎপাদিত পাট পণ্য বিপণনে ব্যর্থতা দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করে ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটি বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সম্পদ পিপিপি’র নামে লুটপাটকারীদের হাতে ছেড়ে না দিয়ে, পাটকলের পুরোনো মেশিনের বদলে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাংশ স্থাপন করে এই শিল্পকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের বিদায়ের জন্য কথিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের পরিবর্তে এক হাজার ২০০ কোটি টাকায় পাটকলে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করে পাটশিল্প, পাটকল ও শ্রমিক রক্ষার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা। সোমবার পার্টির এক বৈঠক থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। পলিটব্যুরোর সভার প্রস্তাবে বলা হয়, পাটকল বন্ধ করে নয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যবস্থাপনায় চালু রেখেই; পাটকলের পুরোনো মেশিন সরিয়ে আধুনিক ও উন্নত টেকসই প্রযুক্তি স্থাপন করে এই শিল্পের ঐতিহ্য ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। দেশের ৫০ লাখ কৃষক পাট চাষের সঙ্গে যুক্ত, পাট ও পাট শিল্পের সঙ্গে ৪ কোটি মানুষের জীবন জীবিকার সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের আত্মপরিচয়ের আন্দোলনের সঙ্গে পাট ও পাট শিল্প অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পাটকল বন্ধ হলে পাট সংশ্লিষ্ট মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে আসবে। পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে ভিডিও কনফারেন্স সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের প্রস্তাবে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের প্রতিবাদে পাটকল শ্রমিক, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ নয়, চালু রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়। প্রস্তাবে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালে পাটের পুনর্জাগরণের লক্ষে পাটকমিশন গঠন করেছিলেন, যার উৎসাহে পাটের জিনোম আবিষ্কৃত হয়েছে; এখন এমন কি ঘটল যার কারণে পাটকল বন্ধ করে দেয়ার এবং পাট অর্থনীতিকে বাতিলের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিতে হলো? সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, পাট শিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করার দায় শ্রমিকের নয় বরং যারা এর পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তাদের অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে’ পাট শিল্পকে লোকসানি খাতে পরিণত করা হয়েছে।
×