ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রাথমিকে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ২২:১২, ৭ জুলাই ২০২০

প্রাথমিকে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী বিদ্যালয়ে আরও অন্তত ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সারাদেশে ২৬ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও প্রাথমিকে ১৫ হাজার সহকারী মিলে মোট ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এদিকে এই নিয়োগ থেকেই চাকরি প্রার্থী নারী-পুরুষ উভয়েরই শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক পাস কার্যকর করা হতে পারে। যা এতদিন পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক ও নারীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পাস ছিল। নতুন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগের উদ্যোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলেছেন, বর্তমানে সারাদেশে এ স্তরে ২৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেশের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৫ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। এসব বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সব মিলিয়ে একত্রে ৪০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ৪০ হাজারের মতো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের জন্য যারা নিয়োগ পাবেন তাদের আলাদাভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে মহাপরিচালক বলেন, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই এসব পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এদিকে এদিকে এই নিয়োগ থেকেই চাকরি প্রার্থী নারী-পুরুষ উভয়েরই শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক পাস কার্যকর করা হতে পারে। যা এতদিন পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক ও নারীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পাস ছিল। পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে এ বিষয়টি পরিবর্তন হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক। এক্ষেত্রে অবশ্যই নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের চেয়ে বাড়ানো হচ্ছে। এইচএসসি পাস থেকে বাড়িয়ে চার বছরের স্নাতক ডিগ্রী নির্ধারণ হতে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের যে সকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা চলতি দায়িত্বে রয়েছেন তাদের জুলাই মাসের মধ্যেই স্থায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হবে। এটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মোঃ ফসিউল্লাহ এদিকে এই নিয়োগ থেকেই চাকরি প্রার্থী নারী-পুরুষ উভয়েরই শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক পাস কার্যকর করা হতে পারে। যা এতদিন পুরুষের ক্ষেত্রে স্নাতক ও নারীদের ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পাস ছিল। মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলেন, আমরা অনেক প্রধান শিক্ষককে চলতি দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি। চলতি মাসের মধ্যেই তাদের চূড়ান্তভাবে পদোন্নতি দিতে চাচ্ছি। চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকদের এসিআরসহ আরও কিছু কাগজপত্র অধিদফতরে চলে আসলে আমরা একটা একটা জেলা ধরে শিক্ষকদের স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়ে দিব। জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া আরও ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
×