স্টাফ রিপোর্টার ॥ এডিস মশা নিধনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করছে। অভিযানের দ্বিতীয় দিনে রবিবার ১৩ হাজার ২৯৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৯৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পায়। এছাড়া ৭ হাজার ৭৯৪টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পায়। এ সময়ে ১৮টি মামলায় মোট ২ লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ডিএনসিসি সুত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
উত্তরা অঞ্চলে মোট ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চারটি মামলায় মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৯২৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। মিরপুর অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৮৫৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ছয়টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪২১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আটটি মামলায় মোট ১ লাখ ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৪৯৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯৯২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মিরপুর-১০ অঞ্চলে ১ হাজার ৫৭২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭২৫টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। কাওরান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৯৪টি বাড়ি বা স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময়ে দুটি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৬১১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৩৫৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৯৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় একটি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ৯৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭০৫টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৩৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে তিনটি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৫১০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৪৯৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে সাতটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৩০৭টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। সাঁতারকুল অঞ্চলে মোট ৬১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫০৪টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লেখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এ বিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ের ১০ দিনব্যাপী (৬-১৫ জুন) চিরুনি অভিযানে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৩৫টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৬০১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৯ হাজার ৬২৬টি বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশা বংশ বিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে মোট ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
