স্টাফ রিপোর্টার ॥ সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম- মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রবিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সীমান্তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করছে বিএসএফ। বাংলাদেশের ভেতর থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনও চালায় তারা। বিগত তিন মাসে তারা ২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করেছে। ২ জুলাইও তারা একজনকে হত্যা করছে। শনিবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন জাহাঙ্গীর আলমকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ভয়ঙ্কর অমানবিক মনুষ্যত্বহীন ঘটনা দেশবাসীকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। অথচ সরকার টু শব্দটি পর্যন্ত করে না। সীমান্ত হত্যা বন্ধে সরকার প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই একপেশে হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ। আমরা সীমান্তে বিএসএফের সকল হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা শহরে বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া খুঁজে পাচ্ছে না। সবাই ঢাকা ছেড়ে গ্রামমুখী হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষরা করোনার আঘাতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এর ওপর বিদ্যুত, গ্যাস, পানি ও জ্বালানি তেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধিতে তাদের জীবন ওষ্ঠাগত। শ্রমিক ছাঁটাই আর চাকরিচ্যুতির হিড়িক পড়ে গেছে দেশব্যাপী। চাকরি হারিয়ে আত্মহত্যা করছে মানুষ। এক নজিরবিহীন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে মধ্য ও স্বল্প আয়ের মানুষ। সরকারের লোকেরা এই সঙ্কটগুলোর দিকে নজর না দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিরোধী দলের ওপর ঝাঁক বেঁধে আক্রমণ শুরু করেছে। সেখানে শুধু মিথ্যা কথার ফুলঝুরি নয়, চলছে গুম, মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের হিড়িক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: