ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জুনে রফতানি আয় বেড়েছে ১২৫ কোটি ডলার

প্রকাশিত: ২৩:৫৫, ৬ জুলাই ২০২০

জুনে রফতানি আয় বেড়েছে ১২৫ কোটি ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস মহামারীকালে পণ্য রফতানিতে ভাল প্রবৃদ্ধি নিয়ে শেষ হয়নি ২০১৯-২০ অর্থবছর। করোনা ধাক্কায় লক্ষ্য থেকে দূরেই থাকল পণ্য রফতানি আয়। পরিসংখ্যান বলছে, সদ্য শেষ হওয়া এই অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ (৩৩.৬৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এই অঙ্ক লক্ষ্যের চেয়ে ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। মূলত তৈরি পোশাকের ওপর করোনার প্রকোপ সামলাতে পারেনি গোটা রফতানি আয়। এবার লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার কম এসেছে পোশাক রফতানি আয়। আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৮ শতাংশ। তবে সুখবর এটুকুই মে মাসের তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া জুন মাসে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় ১২৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ ঘুরে দাঁড়ানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে রফতানি আয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রবিবার রফতানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৪ হাজার ৫৫০ কোটি ডলার। আগের বছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এ হিসাবেই প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় কমেছে ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এদিকে একক মাস হিসেবে গত জুন মাসে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে ২৭১ কোটি ৪৯ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। মে মাসে এই রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রফতানি আয় বেড়েছে প্রায় ১২৫ কোটি ডলার। গত এপ্রিলে এই রফতানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার। এপ্রিলের তুলনায় জুন মাসে পণ্য রফতানি প্রায় পাঁচগুণ বাড়লেও তা গত বছরের জুন মাসের চেয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কম। রফতানিকারকরা বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এপ্রিল মাসের পুরোটা সময় পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতিও ছিল খুব খারাপ। সে কারণে এপ্রিলে রফতানি তলানিতে নেমে এসেছিল। এখন বিশ্বের অনেক দেশেই লগডাউন শিথিল করায় রফতানি আয় বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
×