স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, করোনা রোগীদের মৃত্যু হয় শ্বাস কষ্টে। তাই করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাস কষ্ট হলে প্রথমে স্বাভাবিক অক্সিজেন, আন্ডার প্রেসার অক্সিজেন এবং প্রয়োজন হলে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে লাইফ সার্পোট দিতে হয়।
তিনি বলেন, ঢাকার কিছু হাসপাতাল ছাড়া দেশের বেশির ভাগ জায়গায় এই সহায়তা নেই। তাই যত দ্রুততার সাথে যতটুকু সম্ভব সরকারকে সারাদেশে অক্সিজেন সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। অক্সিজেন ও ভ্যান্টিলেশন-এর সহায়তা নিশ্চিত করা গেলে দেশে করোনায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমে যাবে।
করোনায় মৃত্যুর হার কমে গেলে সাধারন মানুষের ভয়-ভীতি দূর হবে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ফিরে আসবে, অর্থনৈতিক চাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কাজ-কর্ম করতে পারবে। দেশের উন্নতি, অগ্রগতি ও স্বাবলম্বিতা নিশ্চিত হবে।
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান-এর বনানী অফিসে জাপার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা শেষে জি এম কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, সংক্রমণ কমাতে হলে সনাক্ত করার বিষয়ে আরো জোর দিতে হবে। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে করোনা পরিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এতে মানুষ নিজেদের প্রচেষ্টায় আইসোলেশনে যেতে পারবে। এতে সংক্রমণ আরো কমে যাবে।
আগামী ১৪ জুলাই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি চুড়ান্ত করা হয়েছে। ১৪ জুলাই সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিমানযোগে রংপুরে যাবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরে পল্লীবন্ধুর সমাধিস্থলে পুস্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে যোগ দেবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।
বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় পার্টি বনানী অফিসে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান। ঐদিন সকাল থেকে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইলে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। সকালে সারাদেশে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যরিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, এডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী ও দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চূড়ান্ত করতেই কো-চেয়ারম্যানদের বৈঠক আহ্বান করেছিলেন জিএম কাদের। তবে সাতজনের মধ্যে মাত্র একজন কো-চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। তারপর অন্য নেতাদের নিয়ে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচী চূড়ান্ত করা হয়।
