ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী অঞ্চলে ক্রমেই ভয়ানক থাবা বসাচ্ছে করোনা, আরও ২৬২ শনাক্ত

প্রকাশিত: ১৮:২২, ৫ জুলাই ২০২০

রাজশাহী অঞ্চলে ক্রমেই ভয়ানক থাবা বসাচ্ছে করোনা, আরও ২৬২ শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী বিভাগে ক্রমেই ভয়ানক হয়ে উঠছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৬২ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৪৪ জন এবং মারা গেছেন আরো ২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। রবিবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৫১ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৪০ জন। আজ রবিবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৯৬ জন, নওগাঁর ১৭ জন, নাটোরের ২৯, জয়পুরহাট ৩ জন, বগুড়ায় ৬১ জন, সিরাজগঞ্জে ৩০ জন ও পাবনার ২৬। তবে বিভাগের অপর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগি শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩ হাজার ৩০৭ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহী মহানগরীতে ৭৯৯ জনসহ রাজশাহী জেলায় ১ হাজার ৮৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৫৫৯ জন, নাটোরে ২৪৪ জন, জয়পুরহাটে ৪৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৬২৭ জন ও পাবনায় ৪৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৯৬ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১১ জন, নওগাঁয় সাতজন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৬১ জন, সিরাজগঞ্জে আটজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৪৪ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ১৯৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৫৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ৩৪৩ জন, নাটোরে ৭৬ জন, জয়পুরহাট ১৫১ জন, বগুড়ায় ৯৩৭ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৭ জন ও পাবনায় ১৪৯ জন। ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দূরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
×