ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উড়ো চিঠির অভিযোগ আমলে নেয়া প্রশ্নবিদ্ধ

প্রকাশিত: ২২:৪২, ৫ জুলাই ২০২০

উড়ো চিঠির অভিযোগ আমলে নেয়া প্রশ্নবিদ্ধ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অলিম্পিক গেমস থেকে বাংলাদেশ যদি দুটি খেলায় কোন ‘অধরা’ পদক জিততে পারে তাহলে সেই দুটি খেলার একটি হচ্ছে আরচারি, অন্যটি শূটিং। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- আরচারি যতই উন্নতি করছে ততই যেন পিছিয়ে পড়ছে শূটিং। গত বছর বার্ষিক সাধারণ সভায় ফেডারেশনের কাউন্সিলরদের কাছে পাঠানো হয় তিনটি বেনামি চিঠি। প্রতিটি চিঠিই লেখা হয় মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদের কর্মকান্ড নিয়ে। মোট ১০টি অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। কিন্তু তদন্ত কমিটির এই অভিযোগে অভিযুক্ত নন বলে দাবি করেন ইন্তেখাবুল। সব অভিযোগই দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন তিনি। জনকণ্ঠকে তিনি জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, সেগুলো উদ্দেশপ্রণোদিত। গত আট বছরে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসেনি। আসলে আমার বিরুদ্ধে একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে। তদন্ত কমিটির কাছে আমি চার পৃষ্ঠার বক্তব্য দিয়েছি। অথচ তদন্ত কমিটির দেয়া ৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে আমার বক্তব্য যুক্ত করা হয়নি। জার্মানি থেকে ফেরার পথে শূটিং দলের সঙ্গে ৭টি এ্যানসুজ এয়ার রাইফেল দেশে আনার অভিযোগ প্রসঙ্গে ইন্তেখাবুল বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে কিছু শূটার বিদেশ থেকে অস্ত্র নিয়ে এসেছে উপহার হিসেবে পেয়ে। সেগুলোর কাগজ তাদের কাছে আছে। অতীতেও এভাবে দেশে আনা হয় অস্ত্র। এটা কোন অপরাধ না। কাস্টমস ও বিমানবন্দরে এগুলোর ট্যাক্স দেয়া হয়নি। যেহেতু বিমানবন্দরে ট্যাক্স দেয়া হয়নি সেটা অপরাধ হতে পারে। প্রতিকার হিসেবে এখন ওই শূটারদের অস্ত্রগুলোর কাগজপত্র দেখাতে হবে। ট্যাক্সও দিতে হবে। এ সংক্রান্ত চিঠি ইতোমধ্যেই তাদের দিয়েছে এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। ইন্তেখাবুল বলেন, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। কিন্তু শূটিং ফেডারেশন কিংবা আমার নিজের বদনাম হয় এমন কোন কাজ আমি করিনি।
×