ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ খাগড়াছড়ির ফলচাষীরা

প্রকাশিত: ২২:২১, ৫ জুলাই ২০২০

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ খাগড়াছড়ির ফলচাষীরা

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ‘আম্রপালি, রাঙ্গুইসহ বিচিত্র জাতের আমসহ মৌসুমি ফলের ভাল ফলন হলেও মুখে হাসি নেই ফল চাষীদের। একদিকে করোনাভাইরাসের থাবা অপরদিকে সড়কের বিভিন্নস্থানে টোল কেন্দ্রের ইজারাদারদের ‘অতিরিক্ত টোল, ট্যাক্স আদায় ও চাঁদাবাজিতে মৌসুমি ফল চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও থামছে না ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য। এ নিয়ে ফলচাষীরা সংবাদ সম্মেলন ও বিভিন্ন দফতরে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এ ব্যাপারে তাদের কাছ কেউই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষমুক্ত ও সুস্বাদু হওয়ায় খাগড়াছড়ির আ¤্র্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম সারাদেশে বেশ সমাদৃত। তাই প্রতিবছর পাহাড়ের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যেত এখানকার উৎপাদিত আম। প্রতিটি আম বা ফলের ট্রাক খাগড়াছড়ি হতে ফেনী বা চট্টগ্রামে পৌঁছাতে টোল ও ট্যাক্সের নামে চাঁদা দিতে হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন সংস্থার ধার্যকৃত টোল কয়েকগুণ হারে বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এখানকার ফল বাগান মালিকদের। খাগড়াছড়ি ফলজ বাগান মালিক সমিতি উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিঙ্কজানান অতিরিক্ত টোল ট্যাক্সের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার ফল চাষীরা। বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছে না সমাধান। খাগড়াছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান, চাঁদাবাজদের ব্যাপরে পুলিশ সর্বদা সচেতন নন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুর আলম বলেন, ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে টোল সমস্যা সমাধান করা হবে।
×