ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘বাংলার বস আর সম্রাট’ নিয়ে হাট মাত করার স্বপ্ন আসমতের

প্রকাশিত: ২২:২০, ৫ জুলাই ২০২০

‘বাংলার বস আর সম্রাট’ নিয়ে হাট মাত করার স্বপ্ন আসমতের

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ‘বাংলার বস’ আর ‘বাংলার সম্রাট’ নিয়ে কোরবানির পশুহাট মাত করার স্বপ্ন দেখছেন খামারি আসমত আলী গাইন। বিশালাকায় দুই ষাঁড়কে মোটাতাজাকরণ করে প্রস্তুত করেছেন কোরবানির জন্য। দুই গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বড় হাতির সমান ‘বাংলার বস’র দাম নির্ধারণ করেছেন ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা ৩০ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন। ‘বাংলার বস’ আর ‘বাংলার সম্রাট’কে দেখতে প্রতিদিনই আসমতের খামারে ভিড় করছেন উৎসুক দর্শনার্থীরা। খামারি আসমত আলী গাইন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের মৃত রজব আলী গাইনের ছেলে। গত ২৫ বছর ধরে তিনি গরু পালন করেন। মীম ডেইরি ফার্ম নামের খামারে ইতিপূর্বে দুধের গাভী পালন করে আসছিলেন। গত বছর শখের বশে উন্নত জাতের এঁড়ে গরু কিনে সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন। খামারি আসমত আলী গাইন জানান, গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোরের নিউমার্কেট এলাকার হাইকোর্ট মোড়ের খামারি মুকুলের কাছ ‘বাংলার বস’কে ১৭ লাখ টাকায় কেনেন। আর ‘বাংলার সম্রাট’কে কেনেন ৮ লাখ টাকায়। দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুট্টা, ও ছোলার ভুষি, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুড়া মিলে দিনে দু’বার মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়া নিজের প্রশিক্ষণ থাকায় তিনি নিজেই গরুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চিকিৎসা করে থাকনে। আসমত আলী গাইন আরও জানান, ‘বাংলার বস’ নামের ষাঁড়টি ফ্রিজিয়ান জাতের। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলার বস’র ওজন এখন ২৬’শ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। তার ধারণা, এবারের ঈদের পশুহাটে এর চেয়ে বড় গরু আর উঠবে না। ‘বাংলার বস’র দাম হেঁকেছেন ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারীরা ইতোমধ্যে ৩০ লাখ টাকা দাম বলেছেন। আর ‘বাংলার সম্রাট’র দাম উঠেছে ১৫ লাখ টাকা। এটির দাম ৩০ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন তিনি। মীরসরাইয়ে অনলাইনে গরুর বাজার নিজস্ব সংবাদদাতা মীরসরাই চট্টগ্রাম থেকে জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এখন পণ্য কেনা বেচা হচ্ছে অনলাইনে। তারই নিরিখে পবিত্র কোরবানিকে সামনে রেখে মীরসরাইয়ে নাহার এগ্রো ফার্মের কোরবানির গরু বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। বিক্রির জন্য সাড়ে তিনশ’র বেশি গরু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনলাইনে শুরু হয়েছে বিক্রির কার্যক্রম। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতাদের জন্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তানজীব জাওয়াদ রহমান। জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানিতে অবদান রেখে আসছে নাহার এগ্রো। ৪শ’ থেকে ৯শ’ কেজি ওজনের গরু রয়েছে এখানে। ১ লাখ টাকা থেকে ৭ লাখ টাকা মূল্যের গরু রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানে। বাজারে বিক্রির চেয়ে অনলাইনে অর্ডারকে গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি।
×