ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চরম বিপাকে পড়েছে খাগড়াছড়ির আমসহ মিশ্র ফলচাষীরা

প্রকাশিত: ১৪:৪৭, ৪ জুলাই ২০২০

চরম বিপাকে পড়েছে খাগড়াছড়ির আমসহ মিশ্র ফলচাষীরা

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ‘আম্রপালি, রাংঙ্গুইসহ বিচিত্র জাতের আমসহ মৌসুমি ফলের ভাল ফলন হলেও মুখে হাসি নেই ফল চাষীদের। এক দিকে করোনাভাইরাসের থাবা অপর দিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে টোল কেন্দ্রের ইজারাদারদের ‘অতিরিক্ত টোল,ট্যাক্স আদায় ও চাঁদাবাজিতে মৌসুমি ফল চাষীরা চরম বিপাকে পড়েছে। মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও থামছে না ইজারাদারদের দৌরাত্ম। এ নিয়ে ফলচাষীরা সাংবাদিক সম্মেলন ও বিভিন্ন দফতরে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছ না বলে অভিযোগ ।তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এ ব্যাপারে তাদের কাছ কেউই অভিয়োগ করেনি । অভিয়োগ পেলে ব্যববস্থা নেয়া হবে । বিষমুক্ত ও সু-স্বাদু হওয়ায় খাগড়াছড়ির আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম সারাদেশে বেশ সমাদৃত। তাই প্রতিবছর পাহাড়ের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যেতো এখানকার উৎপাদিত আম। তবে এবার ফলন ভালো হলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে সমতলের ব্যবসায়ীরা তেমন আসছেন না। যারা আসছেন তারাও পড়ছেন বিপাকে পড়ছেন ‘অতিরিক্ত টোল, ট্যাক্স আদায় ও চাঁদাবাজিতে । বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আম পরিবহনে রাস্তায় রাস্তায় জেলা পরিষদ, বাজার ফান্ড ছাড়াও খাগড়াছড়ি ও রামগড় পৌরসভা টোলের নামে অস্বাভাবিক হারে টাকা নিচ্ছে। পুলিশ ও বিভিন্ন পাহাড়ি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলও হাতিয়ে নিচ্ছে চাঁদা। ফলে প্রতিটি আম বা ফলের ট্রাক খাগড়াছড়ি হতে ফেনী বা চট্টগ্রামে পৌছাতে টোল ও ট্যাক্সের নামে চাঁদা দিতে হয় ১২-১৫ হাজার টাকা। এছাড়া জেলার বিভিন্ন সংস্থার ধার্যকৃত টোল কয়েক গুন হারে বেশি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এখানকার ফল বাগান মালিকদের। খাগড়াছড়ি ফলজ বাগান মালিক সমিতি উপদেষ্টা অনিমেষ চাকমা রিঙ্কজানান অতিরিক্ত টোল ট্যাক্সের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এখানকার ফল চাষিরা। সাংবাদিক সম্মেলনসহ বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছেনা সমাধান । খাগড়াছড়ি থানার অফিসার ইনচাজ আব্দুর রশিদ জানান চাঁদাবাজদের ব্যাপরে পুলিশ সর্বদা সচেতনন ।সুনিদিষ্ট অভিয়োগ পেলে তাদের আাইনের আওতায় আনা হবে । খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুর আলম বলেন ফল ব্যবসায়িদের সাথে আলোচনা করে টোল সমস্যা সমাধান করা হবে । তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি টোল ইজারাদার সংশ্লিষ্টদের কেউ-ই। খাগড়াছড়ি কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান মতে, ৩ হাজার ২শ ৪৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। এ বার উৎপাদন হয়েছে ২৯ হাজার ১শ ৯৬ মেট্রিক টন।এখনই ব্যবস্থা না নিলে বিভিন্ন ফলফলাদি বাজারজাত ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে পরিবহনের ক্ষেত্রে আমচাষীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে আশংকা সচেতন মহলের।
×