ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইনে প্রথম একজন অভিযুক্ত

প্রকাশিত: ১৪:০৮, ৪ জুলাই ২০২০

হংকংয়ে নতুন নিরাপত্তা আইনে প্রথম একজন অভিযুক্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ হংকংয়ে সদ্য চালু হওয়া চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে ধরপাকড় করার পর প্রথম একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। গত বুধবার হংকংয়ে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাস্তায় নতুন আইন-বিরোধী বিক্ষোভের সময় ‘হংকং মুক্ত কর’ স্লোগান লেখা প্রতীক বহনের জন্য টং ইং-কিট নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ উস্কে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিও’য় দেখা গেছে, বিক্ষোভের সময় টং পুলিশের মধ্য দিয়েই মটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন। কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা মটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান। এরপর পড়ে যান টং নিজেও। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর টংকে হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করা হয়। হংকং সরকার বলেছে, তিনি ‘হংকং মুক্ত কর,’ ‘আমাদের সময়ের বিপ্লব’ স্লোগান লেখা যে প্রতীক বহন করছিলেন; নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় তা বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং বিদ্রোহের সামিল। হংকংজুড়ে বিক্ষোভকারীরা, প্ল্যাকার্ডে, টি শার্টে এইসব স্লোগান লিখছে, দেয়ালে দেয়ালেও তা সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চীনের পার্লামেন্ট গত মঙ্গলবার নতুন হংকং নিরাপত্তা আইন পাস করেছে। এ আইনের আওতায় হংকংয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদ, কর্তৃপক্ষকে অবমাননা, সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করতে বিদেশি বাহিনীর সঙ্গে আঁতাঁত নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। ১ জুলাই থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ এর আওতায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। চীনের ভাষ্য, অস্থিরতা প্রশমন এবং ব্যাপক গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতা সামাল দিতেই এ আইন প্রয়োজন। হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্যও আইনটি হুমকি নয় বলে দাবি চীনের। কিন্তু আইনটিকে হংকংয়ের বিশেষ স্বায়ত্তশাসন, স্বাধীনতার জন্য হুমকি এবং বৃহত্তর গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে আসছেন সমালোচকরা। চীনের এ আইন পাসের নিন্দা-সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং নেটোও।
×