ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত কৃষকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ৪ জুলাই ২০২০

ফরিদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত কৃষকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩ জুলাই ॥ ফরিদপুরের মধুখালীতে গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত কৃষকের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মধুখালীর বাগাট বাজারের কাছে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এ কর্মসূচী পালন করে সহস্রাধিক নারী পুরুষ ও শিশু। এ কর্মসূচীর এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে শুয়ে পড়েন। এর ফলে ওই সড়ক দিয়ে আধা ঘণ্টার জন্য সব ধরনের যান বাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মধুখালী উপজেলার কোড়কদী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিকুর রহমান মোল্লা (৬৩) প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে মধুখালী উপজেলার কোড়কদী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সর্বস্তরের সহস্রাধিক ব্যক্তি বাগাট দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমবেত হয়। সেখানে ওই ব্যক্তির জানাজা হওয়ার কথা ছিল। জানাজার আগে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠের একং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষেভকারীরা ‘নিরীহ কৃষক সিদ্দিক মোল্লার হত্যার প্রধান আসামি আহমেদ মেম্বর, লাল খান ও মতিয়ার খানসহ সব খুনীদের গ্রেফতার ও ফাঁসি দাবি করে’, মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ এ কর্মসূচীতে বাধা দেয়। ওই সময় ওই জায়গায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সে সমাবেশে মধুখালী থানার ওসি ছাড়াও, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদুজ্জামান, নিহতের ছেলে কামরুল মোল্লা, মামা উজ্জল হোসেন, ভাতিজা মোঃ রব মোল্লা, মাসুদ মোল্রা প্রমুখ বক্তব্য দেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। তবে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এক পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে উঠে মিছিল করে এবং এক পর্যায়ে মহাসড়কের উপর বসে পড়ে। বিক্ষোভ কর্মসূচী শেষে বেলা ১১টার দিকে বাগাট দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে কোড়কদী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের কবরাস্থানে দাফন করা হয় সিদ্দিকুর রহমান মোল্লাকে। মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ হত্যার ঘটনায় কোন এজাহার দেয়া হয়নি। এজাহার পেলই সেটি মামলা হিসেবে রজ্জু করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×