ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার রাজধানীর ওয়ারী লকডাউন

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৪ জুলাই ২০২০

এবার রাজধানীর ওয়ারী লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে রাজধানী ঢাকার ওয়ারীতে লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। প্রবেশ ও বের হওয়ার রাস্তাগুলোতে ব্যারিকেড বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তবে লকডাউন কতটা কার্যকর হবে তা নির্ভর করছে এলাকাবাসীর সহযোগিতার ওপর। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্র বলছে, জনসংখ্যার দিক থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ওয়ারীতে তুলনামূলক বেশি। এজন্য ওয়ারীতে লকডাউন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশিত ম্যাপেরভিত্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় লকডাউন বাস্তবায়নের মূল দায়িত্ব পালন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ঘোষণা মোতাবেক আজ শনিবার সকাল ছয়টা থেকে ওয়ারীর আটটি এলাকায় লকডাউন কার্যকর হবে। তা কার্যকর থাকবে পরবর্তী ২১ দিন পর্যন্ত। লকডাউন বাস্তবায়নে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, পুলিশ প্রশাসনসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কাজ করবে। এজন্য সকল প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে। যদিও লকডাউন কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে সেখানকার বাসিন্দাদের সহযোগিতার ওপর। আয়তনের দিক থেকে সেখানকার জনসংখ্যা অনেক বেশি। এছাড়া সেখানে প্রচুর ব্যবসায়ীদের বসবাস। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা কঠোর হবেন। তবে জনসংখ্যার কারণে রাস্তাঘাট জনশূন্য রাখা কঠিন হতে পারে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের আটকে রাখাও কঠিন হতে পারে। কারণ সামনে ঈদ। এজন্য তাদের বিষয়ে সহনীয় হওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। ওয়ারীতে লকডাউন বাস্তবায়নের প্রস্তুতির বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে তারা শতভাগ প্রস্তুত। শনিবার সকাল ছয়টা থেকে লকডাউন কার্যকর করা হবে। ইতোমধ্যেই ওয়ারীর লকডাউন এলাকার রাস্তায় বেরিকেড বসানো হয়েছে। দুই দুটি রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। তিনি বলছিলেন, যদিও শঙ্কা আছে। কারণ পূর্ব রাজাবাজারের তুলনায় এখানে জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। এলাকার প্রবেশ পথ ১৭টি। দুটি পথ খোলা রেখে বাকিগুলো সিলগালা করে রাখা হবে। তারপরও এত বেশি জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে হলে জনবল প্রয়োজন। ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের আটকে রাখাও ঝামেলার। শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে লকডাউন বাস্তবায়ন করা কঠিন হতে পারে। বাসিন্দাদের সব ধরনের প্রয়োজন ও সমস্যা সমাধানেরও সমন্বয় করা হবে। এলাকাবাসী সহায়তা করলে লকডাউন বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে না। ইতোমধ্যেই সেনাবাহিনীর একটি দলও এলাকায় টহল দিয়েছে। তবে আশা করছি লকডাউন শতভাগ সফল করা সম্ভব হবে।
×