ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জলঢাকায় অকেজো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ॥ ভোগান্তিতে পৌরবাসী

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৪ জুলাই ২০২০

জলঢাকায় অকেজো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ॥ ভোগান্তিতে পৌরবাসী

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ কাগজে কলমে শতভাগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু। কিন্তু বাস্তবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অকেজো। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জনসাধারণকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ- এমন অভিযোগ তুলে জলঢাকা পৌরবাসী বলছে শুধু বর্ষা নয়, বৃষ্টি এলেই জলে ভাসতে থাকে জলঢাকা পৌরসভাবাসী। গত দুইদিন ধরে অবিরত বৃষ্টি চলছে। শুক্রবার নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে ১০৫ মিলিমিটার ও আবহাওয়া অফিস ডিমলায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করে। এর আগেরদিন বৃহস্পতিবার ডালিয়ায় ১১১ মিলিমিটার ও ডিমলা ২০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে একীভূত জলঢাকা পৌর শহরের যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তাতে বাদ পড়েনি সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলো। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রাণিসম্পদ কার্যালয়, খাদ্যগুদাম, থানা, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে হাঁটু পানি। শুক্রবার পৌরবাসী অভিযোগ করে জানালেন তাদের কষ্টের কথা। পৌরশহর এখন জলাবদ্ধতার শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর বাজেট-উন্নয়নসহ নানামুখী কর্মসূচীর কথা কাগজে-কলমে থাকলেও নেই পানি নিষ্কাশন বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা। ফলে কাদা ময়লায় একাকার এলাকা। জানা যায়, জলঢাকা সদর ইউনিয়ন ২০০১ সালে পৌরসভায় উন্নীত হয়। উন্নীত হবার পর যা উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তারপর দৃশ্যমান তেমন উন্নয়ন হয়নি। ফলে একটু বৃষ্টিতেই শহর এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর এলাকার ফজলুর রহমান, আতিয়ার রহমান ও রশিদুল ইসলাম জানান, সমস্যার কথা আর কি বলব? বর্ষা আসলেই আমাদের দুর্ভোগ বাড়ে। দেখার কেউ নাই। তাই হাঁটু পানি ভেঙ্গে জরুরী কাজে চলাচল করতে হচ্ছে। পৌর মেয়রকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি মোবাইলও ধরেন না। পৌরবাসীদের মধ্যে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন জলঢাকা পৌর এলাকায় অসংখ্য হাটবাজার। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকায় হাটবাজারগুলো পৌর কর্তৃপক্ষ ডাক দেয়। এই টাকার হিসাব কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে সব মেয়রের পকেটে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ আসছে। সেই টাকারও উন্নয়ন নেই। এ ব্যাপারে পৌর প্যানেল মেয়র রুহুল আমিন বলেন, আমি নিজেই পানিতে হেঁটে বেড়াচ্ছি। আর জলাবদ্ধতার কথা নাইবা বললাম।
×