ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পুরনো এক্স-রে মেশিন গছিয়ে দেয়া হলো চৌগাছায়

প্রকাশিত: ২১:০৬, ৪ জুলাই ২০২০

পুরনো এক্স-রে মেশিন গছিয়ে দেয়া হলো চৌগাছায়

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুনের বদলে পুরনো একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন রং করে বসানো হয়েছে। পুরনো মেশিন হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয়নপত্র দিয়ে দিয়েছেন। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পুরনো মেশিন দেয়ার কথা স্বীকার করে বলছেন, নতুন মেশিন কেনার বাজেট দেয়া হয়নি। স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী অফিসার বলছেন, এটা দুর্নীতি। মানা হবে না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এডিবি বরাদ্দ তিন লাখ ৫০ হাজার টাকায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিন সংযোজন করা হয়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর কে এন্টারপ্রাইজের যোগসাজশে নতুন পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনের বদলে একটি রিকন্ডিশন্ড মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি একজন ডাক্তার হিসেবে এসব মেশিন আমার চেনা। আমি কেন, যে কেউ দেখেই বুঝতে পারবে এটি নতুন নয়। একটি পুরনো মেশিন রং করে সরবরাহ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফুন্নাহার বলেন, ‘আমার এক্সেরে অপারেটর ও স্টোরকিপার বলল মেশিনটি ঠিক আছে। তাদের কথামতো আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’ এক্স-রে অপারেটর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘মেশিনটি সচল আছে। কিন্তু নতুন নাকি পুরনো- সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’ হাসপাতালের স্টোরকিপার ইমরান হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোন কাগজপত্র দেয়নি বলে আমি এক্স-রে মেশিনটি রিসিভ করিনি।’ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কীভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেশিনটি গ্রহণ করল, আমার মাথায় আসছে না। নতুন মেশিনের বদলে পুরনো মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কীভাবে প্রত্যয়নপত্র দিলেন-বুঝতে পারছি না।’ ইউএনও আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মেশিন কেনার সম্পূর্ণ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। তারা রাজিও হয়েছে।
×