ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার রায় আগস্টে

প্রকাশিত: ১২:৩৮, ৩ জুলাই ২০২০

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার রায় আগস্টে

অনলাইন ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে নৃশংস হামলা চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেন অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী ব্রেনটন ট্যারেন্ট। গত মার্চে তিনি এ ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে রায় ঘোষণার দিন ধার্যে বিলম্ব হয়। অবেশেষে আগামী মাসে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দেশটির বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডার ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ আগস্ট রায় ঘোষণা করা হবে। নিউজিল্যান্ডের বাইরে অবস্থানরত ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের লোকজন চাইলে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে রায় ঘোষণার সময় যুক্ত থাকতে পারবেন। ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নুর ও লিনউড মসজিদে হামলা চালান ব্রেনটন ট্যারেন্ট। এ ঘটনায় ৫১ জনকে হত্যাসহ ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টা ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগও আনা হয়। গত মার্চে আদালতে এসব অভিযোগ স্বীকার করেন তিনি। বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডার বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন নিউজিল্যান্ডে আসতে না পারায় রায় ঘোষণার দিন ধার্যে বিলম্ব হয়। করোনার কারণে শুধু নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের ইমিগ্রেশনের পক্ষ থেকে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সীমিত পরিসরে প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় ছিলাম। এছাড়া সেই সময় যারা শুনানিতে অংশ নিতে পারছিলেন, তাদের আগ্রহের বিষয়টিও বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানান এই বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, বিচারকার্য বিলম্বিত হওয়ায় ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের লোকজন বিরক্ত হয়ে পড়েন কিনা সে ব্যাপারে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। তারা চাচ্ছিলেন যত দ্রুত সম্ভব ব্রেনটন ট্যারান্টের রায় ঘোষণা করা হোক। অবশেষে তার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হলো। ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালান ব্রেনটন। হামলার সময় তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন। ১৭ মিনিট ধরে ওই হামলার লাইভ ভিডিও প্রচারিত হয়। মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক গুলি ছুড়তে থাকের তিনি। এ হামলায় ৫১ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়। ব্রেনটন ট্যারান্টের চালানো নৃশংস হামলায় নিউজিল্যান্ডসহ সারাবিশ্বের মানুষ হতবাক হয়ে যায়।
×