ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬ চৈত্র ১৪৩০

রাজশাহী অঞ্চলে আরও ২১৯ শনাক্ত, ৫ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ২ জুলাই ২০২০

রাজশাহী অঞ্চলে আরও ২১৯ শনাক্ত, ৫ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহীর বিভাগে আট জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৯ জনের নমুনায় করোনা পাওয়া গেছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৭২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী। আর মারা গেছেন ৫ জন। এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৯৮ জন। মারা গেছে ৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৬৭২ জন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ১০৬ জন, নাটোরের ১২ জন, জয়পুরহাট ১৩, বগুড়ায় ৭৩ জন, সিরাজগঞ্জে ১৫ জন। তবে বিভাগের অপর জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোন রোগী শনাক্ত হয়নি বলে তিনি জানান। ডা. গোপেন্দ্র আরও জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩ হাজার ৫২ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ৭৮৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৪৫২ জন, নাটোরে ১৮৬ জন, জয়পুরহাটে ৩৮১ জন, সিরাজগঞ্জে ৪৯৪ জন ও পাবনায় ৪৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় মৃতের সংখ্যা ৮৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে নয়জন, নওগাঁয় ছয়জন, নাটোরে একজন, বগুড়ায় ৫৩ জন, সিরাজগঞ্জে আটজন ও পাবনায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। সরকারি হিসেবে এখনো জয়পুরহাট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন আরও ১৭২ জন। এ নিয়ে বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ১৬৭২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে রাজশাহীর ১১৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১ জন, নওগাঁয় ২৮৪ জন, নাটোরে ৬৪ জন, জয়পুরহাট ১৪৪ জন, বগুড়ায় ৮০২ জন, সিরাজগঞ্জ ৬৫ জন ও পাবনায় ১৩৮ জন। ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
×