ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ডে বিস্ফোরণ ঘটাতে চায় পাকিস্তান

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২ জুলাই ২০২০

ইংল্যান্ডে বিস্ফোরণ ঘটাতে চায় পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক ॥পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে এখনো কিছুটা অপরিপক্ব মনে হলেও ইংল্যান্ডে আসন্ন তিন টেস্টের সিরিজে প্রস্তুতিতে কোন রকম ঘাটতি রাখতে চাননা কোচ মিসবাহ-উল-হক। সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এই সিরিজ। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বৈশ্বিক সংক্রমণে পরিবর্তন ঘটেছে অনেক কিছুতে। দর্শক বিহীন স্টেডিয়ামে খেলতে হবে ম্যাচ। আর বলের ঔজ্বল্য বাড়াতে ব্যবহার করা যাবেনা মুখের লালা। এমন এক পরিস্থিতিতে অধিনায়ক আজহার আলী এবং তার দল আবিষ্কার করবে এই ছয় মাসে ক্রিকেটে কতটুকু পরিবর্তন ঘটেছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তান স্কোয়াডের অধিকাংশ সদস্য ইংল্যান্ডে পৌঁছে গেছে। বায়ো সুরক্ষিত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। আর এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে যে সময়ের প্রয়োজন তাতে কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য পাকিস্তানের মুখোমুখি হবার আগেই ‘নতুন পরিবেশে’ অনেকটা মানিয়ে নিবে ইংল্যান্ড। কারণ এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলবে তারা। ক্যারিবিয় সিরিজও একই ভাবে অনুষ্ঠিত হবে (বায়োসুরক্ষিত) পরিবেশে। মিসবাহ উল হকের নেতৃত্বে সর্বশেষ ২০১৮ সালের দুই সিরিজের ফলাফলের কারণে কিছুটা মাথা উঁচু করেই ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে ২০১৪ সালের পর কোন হোম সিরিজে হারেনি ইংল্যান্ড। আর পাকিস্তানের পেস আক্রমণও এখন কিছুটা ভোতা হয়ে যেতে পারে। পাক আক্রমণের অগ্রভাগে থাকাদের মধ্যে কেবল মাত্র মোহাম্মদ আব্বাসের রয়েছে ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। এছাড়া ১৭ বছর বয়সী বিস্ময় বালক নাসিম শাহ ও শাহিন আফ্রিদির রয়েছে সর্বমোট ১২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা। আরেক বোলার ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডকে কাপিয়ে দেয়া মিডিয়াম পেসার সোহেল খানের দুর্বলতা হচ্ছে ওই বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্টের পর আর কোন টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই তার। ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রার আগে পাকিস্তান অধিনায়ক আজাহার রবিবার বলেছিলেন, ‘ম্যাচ সংখ্যার বিচারে পাকিস্তানের চেয়ে ইংল্যান্ড অনেক বেশী অভিজ্ঞ। তবে আমাদের যেমন দক্ষতা রয়েছে, তেমনি তরুণ পেসারদের রয়েছে অনেক বৈচিত্রতা। তারা বিশ্বের যেকোনো দলকেই বেকায়দায় ফেলার যোগ্যতা রাখে। এদিকে ররি বার্নস, ডম সিবলি, জো ডেনলি ও জ্যক ক্রাওলি ইংল্যান্ডের শীর্ষ ব্যাটিং অর্ডারে থাকছে। আর এটিকে সুযোগ হিসেবে ভাবছেন আজাহার। তিনি বলেন,‘ এলিস্টার কুকের অবসরের পর ইংলিশ শীর্ষ ব্যাটিং অর্ডারে মাঝে মাঝে কিছুটা ভঙ্গুরতা দেখা গেছে।’ এদিকে ১৯৯৬ সালে ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ জয়ের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কোচ ওয়াকার ইউনুস ও মুস্তাক আহমেদের কাছ থেকেও অনেক কিছু অর্জনের সুযোগ পাবেন পাকিস্তান বোলাররা। সাবেক অধিনায়ক ইউনুস খানকেও এই সিরিজে ব্যাটিং পরামর্শকের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। প্রথমে ব্যাটিং করলে পাকিস্তান দলকে প্রথম ইনিংসে অন্তত তিন শতাধিক রান সংগ্রহের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন ইউনুস।
×