ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে চড়া দামে আমন বীজ বিক্রি

প্রকাশিত: ২১:০৮, ২ জুলাই ২০২০

বাউফলে চড়া দামে আমন বীজ বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১ জুলাই ॥ চড়া দামে আমন ধানের বীজ বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কয়েকজন ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরে উপজেলায় ১ হাজার ৪শ’ মেঃ টন আমন ধানের বীজ প্রয়োজন। এর মধ্যে স্থানীয় জাতের ৯শ’ মেট্রিক টন এবং উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৫শ’ মেট্রিক টন আমন ধানের বীজের চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা প্রায় ১হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন বীজ সংরক্ষণ করেছেন। বাকি ১শ’ মেট্রিক টন উফশী জাতের বীজ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন’র (বিএডিসি) সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এ পর্যন্ত মাত্র ৩০ মেট্রিকটন বীজ বিএডিসি সরবরাহ করেছে। বাকি ৭০ মেট্রিকটন বীজ সরবরাহ না করায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে। বীজ না পেয়ে অনেক কৃষক বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না। কালিশুরী, কেশবপুর ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের একাধিক কৃষক বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে বীজ না পেলে বীজতলা তৈরি করা যাবে না। আর বীজতলা তৈরি না করতে পারলে এ বছর জমি অনাবাদী থেকে যাবে। এদিকে বাউফল উপজেলায় বীজ বিক্রির জন্য বিএডিসি অনুমোদিত মোট ৩ ডিলার রয়েছেন। এরা হলেন কালাইয়া বন্দরের শ্যামল মালি, হারুন অর রশিদ ও কালিশুরী বাজারের কবির দুয়ারি। সরবরাহের কারণে সঙ্কট তৈরি হওয়ায় এই ডিলাররা চড়া দামে বীজ বিক্রি করছেন বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। প্রতিকেজি বীজের সরকারী মূল্য ৩০ টাকা । অথচ প্রত্যেক ডিলার ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দামে বীজ বিক্রি করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান চড়া দামে বীজ বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কালিশুরীর ডিলার কবির দুয়ারির লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
×