ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাজারে চালের দাম বাড়ানোর কোন অবকাশ নেই ॥ খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ১ জুলাই ২০২০

বাজারে চালের দাম বাড়ানোর কোন অবকাশ নেই ॥ খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ইতোমধ্যে সরকারী ভাবে ২লাখ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়ে গেছে। তাই চালের দাম বাড়ানোর কোন অবকাশ নেই। সরকারী ভাবে ২ টাকা চালের দাম বাড়ালে কেজি প্রতি ১০ টাকা বৃদ্ধি হবে এটা চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই। আজ বুধবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা সমন্বয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থাপনা, ত্রান কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্বাবধায়ন ও আইনশৃংখলা পরিস্থিতি বিষয়ক মত বিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন। এসময় চালকল মালিকদের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, কৃষি প্রণোদনা ও চালের দাম বাড়ানোর যে চিন্তা করছেন এটা কিন্তু গত বছর করেন নাই। গত বছর যখন কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা লাভ হয়েছে। ভবিষ্যতে আমাদের ব্যবসা করতে হবে। তাই কোন সময় বেশী লাভ কোন সময় কম লাভ হবে। মন্ত্রী বলেন, যেহেতু বছরের শেষ সময়ে চালের দাম বাড়ে নাই, ভরা মৌসুমের ধান উঠে গেছে তাহলে চালের দাম কেন বাড়বে। যদি মনে করেন যে, এতে আমাদের কভার হবে না, তাহলে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে চাল আমদানি করতে হবে। তখন বলতে পারবেন না যে চাল আমদানি করে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। সরকার তো বসে থাকবে না। তাই আপনাদেরকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ক্ষতি করতে চাই না। খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালকল মালিকদের বলেন, এই দুর্যোগময় সময়ে যে সব মিলাররা সঠিকভাবে গুদামে চাল দিবে তাদের তালিকা গুলো আমরা আলাদা করে রাখবো এবং তাদেরকে পরবর্তীতে মূল্যায়ন বেশি করা হবে। তাই সকল মিলারদের সঠিক সময়ে গুদামে চাল দেয়ার আহবান জানান তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যে সকল মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে তাদের মাঝে সরকার ও নিজ নিজ এলাকার এমপিরা যথেষ্ট পরিমান ত্রান বিতরণ করেছেন। সরকারের যথেষ্ট পরিমান ত্রান মজুদ রয়েছে। ত্রানের কোন অভাব নেই। ত্রানের অভাবে এই পর্যন্ত কেউ না খেয়ে থাকে নাই। মন্ত্রী দু:খ প্রকাশ করে বলেন, যাদের মাস্ক কেনার সামর্থ রয়েছে তারা কিন্তু মাস্ক ব্যবহার করে না। তাই সকলকে স্বাস্থবিধি মেনে চলার আহবান জানান মন্ত্রী। এসময় ভৃমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, জেলা প্রশাসক মো: হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল মালেক, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, বগুড়া সেনানিবাসের ১০ বীর আধিনায়ক লে: কর্নেল সহ সরকারের কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, চালকল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
×