ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে বিল উত্থাপনের প্রতিবাদ সিপিবির

প্রকাশিত: ২১:৪৭, ১ জুলাই ২০২০

সংসদে বিল উত্থাপনের প্রতিবাদ সিপিবির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম এক বিবৃতিতে বছরে একাধিকবার বিদ্যুত-জ্বালানির দাম পরিবর্তনের সুযোগ রেখে সংসদে বিল উত্থাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দাম বৃদ্ধির এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা-মহামারীতে সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশের মানুষও যখন আতঙ্কিত ও বিপর্যস্ত তখন বছরে একাধিকবার বিদ্যুত-জ্বালানির দাম পরিবর্তনের সুযোগ রেখে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল-২০২০’ সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। উত্থাপিত সংশোধনীতে কোন অর্থবছরে একাধিকবার বিদ্যুত-জ্বালানির মূল্য পরিবর্তনের (মূলত বৃদ্ধির) বিধিনিষেধ তুলে দিয়ে বছরে একাধিকবার দাম পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হয়েছে। নতুন এই আইন পাস করে কার্যকর করতে পারলে বিইআরসি বছরে যতবার খুশি ততবার বিদ্যুত-গ্যাস, ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম বাড়াতে পারবে। এই বিল জাতীয় দুর্যোগের মধ্যে আরেক দুর্যোগ হয়ে সাধারণ জনগণের কাঁধে আসছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রুত বিদ্যুত উৎপাদনের কথা বলে দরদামসহ দেশের স্বার্থ, পরিবেশ এসব যাচাই-বাছাই ছাড়াই বহুল আলোচিত রেন্টাল-কুইক রেন্টাল ও পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। চাহিদা না থাকলেও এই ধারায় এখনও বাড়তি খরচে নতুন নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি করে চলেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় খাতকে পঙ্গু করে বেসরকারী খাতকে প্রাধান্য দেয়ায় এই খাত আজ গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর দখলে। এদের কাছ থেকে বেশি দামে বিদ্যুত কেনা হয়। শুধু তাই নয়, বিদ্যুত না কিনলেও প্রতি মাসে মাসে টাকা দিতে হয়। এই বাড়তি উৎপাদন খরচ জনগণের কাছ থেকে নেয়ার জন্য অযৌক্তিকভাবে সময় সময় দাম বাড়ানো হচ্ছে। সরকার নির্বিকারভাবে এই কাজটি করে চলেছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একথা আমরা পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই, সরকারের ভুলনীতি আর দুর্নীতির ফলে আজ বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত আমাদের গলায় কাঁটার মতো বিঁধে আছে। এর দায় সরকারের, জনগণের নয়। তাই উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কথা বলে মূল্যবৃদ্ধির যে কোন পদক্ষেপ কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। বিইআরসি’র গণশুনানিতে দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ ও আমরা প্রমাণ করেছি- বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নয়, কমানো সম্ভব। তবুও অনিশ্চিত জাতীয় দুর্যোগকালীন সাধারণ মানুষের স্বার্থে ‘দাম কমানোর’ এই পথে না হেঁটে, এই প্রতিষ্ঠান দিয়ে যতবার খুশি ততবার দাম বাড়ানোর জন্য এই সংশোধনী বিল আনা হলো। এই আইন সংশোধনের বিল উত্থাপনের মধ্য দিয়ে সরকার তার গণবিরোধী চেহারা আরেকবার তুলে ধরলো। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
×