স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমনের পাশাপাশি জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। গত দুই দিনেই পুলিশের ৬০৪ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৬৪ জনে। যা একক পেশা হিসেবে সর্বোচ্চ। এদিকে আক্রান্তের মধ্যে পুলিশের ছয় হাজার ৪৩৮ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, রবিবার ২২২ সদস্য আক্রান্তের মধ্যে দিয়ে পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ১৬০ জনে। পরদিন সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৫৮৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৯ জন বেড়ে মঙ্গলবার পুলিশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭৬৪ জনে। যা একক পেশা হিসেবে সর্বোচ্চ। পুলিশ জানায়, মহামারী করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। যে কারণে দ্রুতই সংক্রমিত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে মোট আক্রান্তের মধ্যে পুলিশের ছয় হাজার ৪৩৮ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পুলিশ সদর দফতর ও বিভিন্ন ইউনিটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, একক হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যরা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে। মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ৭৬৪ জনের মধ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিএমপিতে কর্মরতদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ২৮৪ সদস্য। সোমবার আক্রান্ত ছিল দুই হাজার ২৭৩ জন। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির আরও ১১ সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ১১ হাজার ৩৯৫ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে এবং চার হাজার ৪৩৮ সদস্যকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই জনগণের সেবায় আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত ‘চিকিৎসা ও সেবায়’ সুস্থতার হার দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, এ পর্যন্ত পুলিশের ৪২ গর্বিত সদস্য করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এআইজি জানান, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ড. বেনজীর আহমেদ বিরামহীনভাবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করতে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারাও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
