ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও অফিসে বন্যার পানি

প্রকাশিত: ২০:২৯, ৩০ জুন ২০২০

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও অফিসে বন্যার পানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইলেও পানি বৃদ্ধির মাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। ফলে জেলার ছয়টি উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ ইউএনও অফিস চত্তরে পানি উঠায় স্থবির হয়ে পড়েছে সেখানকার কার্যক্রম। বন্যার পানিতে ডুবে জেলার মাদারগঞ্জে ছয় বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের বন্যায় সব চেয়ে বেশি বন্যা দেখা দিয়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। বন্যার পানিতে সয়লাব হয়ে গেছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্তর ও আশপাশের আবাসিক এলাকা। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদে প্রায় কোমর পানি উঠায় সেখানকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নৌকায় করে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় দু’দিন আগেই পাশের একটি ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ উপজেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৮৫টি গ্রামের দুই লাখ ৫৬ হাজার ১১২ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। জেলার মাদারগঞ্জের চরপাকেরদহ ইউনিয়নের গোদাশিমুলিয়া গ্রামে ইব্রাহীম নামের ছয় বছর বয়সের এক শিশু বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করে বন্যাকবলিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শুরু করেছে। কোথাও কোথাও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বন্যার পানি ঢুকে পরলেও পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গা থেকে ক্লিনিকগুলো তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. নায়েব আলী জনকণ্ঠকে জানান, জেলার ছয়টি উপজেলায় আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়লেও জেলার কোথাও কোন বড়ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয়টি উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের জন্য নগদ পাঁচ লাখ টাকার শুকনো খাবার ও ৬০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
×