ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুস্তাফিজদের পুরনো বলে দক্ষ হতে বললেন গিবসন

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ১ জুলাই ২০২০

মুস্তাফিজদের পুরনো বলে দক্ষ হতে বললেন গিবসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাব বৈশ্বিক ক্রিকেটেও পড়েছে। অনেকগুলো নিয়মও পরিবর্তন হয়েছে। পেসারদের জন্য একটি নিয়ম কঠিন হয়ে গেছে। করোনা পরবর্তী ক্রিকেটে বল ঘষতে থুতু বা লালা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাতে করে পুরনো বলেই ভরসা রাখতে হবে পেসারদের। এমনটিই মনে করছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। পেসারদের সাফল্য পেতে পুরনো বলে দক্ষ হতে হবে। বাংলাদেশ পেসারদের, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদদের সেভাবেই প্রস্তুতি নিতেও বললেন তিনি। ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে গিবসন এমনটিই জানান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট যদিও ভিন্ন। তিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের এটা নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে বলে জানান। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হিসেব করলে দেখা যায়, পুরনো হতেই বল এখানে স্পিনারদের হাতে চলে যায়। পেসারদের হাতে আর ফেরত আসে না। কিন্তু দেশের বাইরে সাফল্য পেতে হলে যে এর বিপরীত হতে হবে। গিবসন বলেন, ‘বাংলাদেশের পেসাররা পুরনো বলে বল করারই সুযোগ পায় না। বল ঘষা শুরু হতেই স্পিনারদের হাতে চলে যায় এবং তারাই ইনিংস শেষ করে আসে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও দৃশ্যটা একই। পেসাররা তাই পুরনো বলে অদক্ষ থেকে যায়। বিষয়টা তাই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। না হলে, এ্যাওয়ে ম্যাচে বিপদে পড়বে দল। বিশেষ করে পেস সহায়ক কন্ডিশনে। এই জায়গায় আমাদের তাই নজর দিতে হবে। যাত্রাটা শুরু করতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেই। কারণ যেখান থেকেই পেসাররা অভিজ্ঞতা অর্জন করে।’ বাংলাদেশের পেসারদের সামলানোর দায়িত্ব পড়েছে গিবসনের কাঁধে। যদিও তিনি খুব বেশি সুযোগ পাননি। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ক্রিকেটই যে বন্ধ হয়ে আছে। তবে আল-আমিন, শফিউলদের তিনি দলে নিয়মিত করেছেন। আবু জায়েদ-এবাদতদের দলে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছেন। তরুণ হাসান মাহমুদ-মুকিদুলদের দিকেও নজর রেখেছেন। গিবসন আশাবাদী। বলেছেন, ‘প্রত্যেক দলেরই বিশেষজ্ঞ পেস আক্রমণ আছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। চম্পকা রমানায়েকে তরুণদের খেয়াল রাখছেন। আর আমাদের আল-আমিন, শফিউল, সাইফউদ্দিন, হাসান মাহমুদ, মুস্তাফিজের মতো ক্রিকেটার সংক্ষিপ্ত ফরমেটের জন্য হাতে আছে। টেস্টের জন্য এবাদত-আবু জায়েদ-তাসকিনরা আছে। এছাড়া বিপিএল থেকে হাসান রানা (মেহেদি) ও মুকিদুলকে আমার ভাল লেগেছে। সব মিলিয়ে ১২ জনের মতো পেসার আমার হাতে আছে। আমরা তাদের বিশ্বমানের করে তুলব। তাদেরও সেই পর্যায়ে যেতে না পারার কোন কারণ নেই। আমি বিশ্বাস করি, তাদের সেই সামর্থ্য আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের সফল না হওয়ার কারণ নেই।’
×