ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সুনিশ্চিত করার প্রত্যয়ে মাইন্ডলী

প্রকাশিত: ১৮:২২, ৩০ জুন ২০২০

মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা সুনিশ্চিত করার প্রত্যয়ে মাইন্ডলী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে মাইন্ডলী। কোভিড ১৯ ও বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মাইন্ডলী তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে বিনামূল্যে অনলাইন কাউন্সেলিং সেবা প্রদানের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন মানসিক সমস্যা মোকাবেলার জন্যে সহায়তা করতে পেরেছে। পাশাপাশি আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রচলিত কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারনাগুলো দূর করতে মাইন্ডলী নিজেদের স্যোসাল মিডিয়া পেইজ থেকে ইন্টেন্সিভ এওয়ারনেস ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্ছে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আলোচনাগুলোকে নরমালাইজ করার জন্য মাইন্ডলী নিজেদের ফেইসবুক পেইজ থেকে "মনের বাড়ি" নামক একটি অনলাইন অনুষ্ঠান নিয়মিতভাবে প্রচার করছে যেখানে এখন পর্যন্ত সারা যাকের, ড. মেহতাব খানম, মেহের আফরোজ শাওন, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, ড. আব্দুন নূর তুষার, প্রফেসর সাহাব এনাম খান, ড. ফারাহ দিবা, ড. হেলাল উদ্দিন আহমেদ- সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনপ্রিয় মানুষেরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিজেদের ধারনা ও অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই অনুষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে সক্ষম হয়েছে। মাইন্ডলীর কো-ফাউন্ডার ও সিইও, নাজমুস সালেহ সাকিব বলেন, "স্বাস্থ্য শব্দটা জড়িত থাকলেও শারীরিক এবং মানসিক- এই দুই ধরনের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমাদের ধারনা একদম অবাক করে দেয়ার মত ভিন্ন। মাইন্ডলী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসচেতনতা ও অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়ন সাধনের জন্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে। আমরা এমন একটা সমাজ গড়ে তুলতে চাই যেখানে মানসিক স্বাস্থ্যকে শারীরিক স্বাস্থ্যের মত করেই মূল্যায়ন করা হবে এবং সকল মানুষ যখন চাইবে, যেখান থেকেই চাইবে, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য ও চিকিৎসায় এক্সেস করতে পারবে। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির- এমন একটা পৃথিবীর স্বপ্নই আমরা দেখি।" মানসিক স্বাস্থ্য ও বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটঃ বাংলাদেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী মানুষের ১৭ শতাংশ কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং এদের মধ্যে ৯২ শতাংশই চিকিৎসা নেয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী। ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১৪ শতাংশ কিশোর–কিশোরীর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে যাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ কোনো চিকিৎসা নেয় না। "জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ, বাংলাদেশ: ২০১৮-১৯" এর মাধ্যমে এই তথ্যগুলো উঠে এসেছে।
×