ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর লঞ্চ থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ৩০ জুন ২০২০

সাড়ে ১২ ঘণ্টা পর লঞ্চ থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে দীর্ঘ প্রায় সাড়ে বারো ঘণ্টা পর জীবিত অবস্থায় এক ব্যক্তি উদ্ধার হয়েছেন। অলৌকিক হলেও সত্য এমন ঘটনায় রীতিমতো হৈ চৈ পড়ে গেছে। তিনি কিভাবে ডুবে যাওয়া জলযানে বেঁচে ছিলেন তাই আলোচনা চলছে সর্বত্র। ফায়ার সার্ভিস বলছে, হয়তো তিনি এমন কোন জায়গা আটকা পড়েছিলেন, যেখানে পানি যেতে পারেনি। আর সেখানে পর্যাপ্ত বাতাস থাকায় অক্সিজেন ছিল। তাই হয়তো তিনি অলৌকিভাবে বেঁচে গেছেন। তবে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি সুস্থ হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। বিরতিহীনভাবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার মোঃ কামরুল হাসান জনকণ্ঠকে জানান, রাত সাড়ে দশটার দিকে এয়ারব্যাগ দিয়ে লঞ্চটি ভাসিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তখনই এক ব্যক্তি নিচ থেকে বেরিয়ে আসেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। অনেকটা অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। তাকে এয়ারব্যাগে রাখা হয়। লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে ও ম্যাসেজ করে তার শরীর গরম করার চেষ্টা চলতে থাকে। কারণ তার শরীর প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে পড়েছিল। প্রায় আধঘণ্টা পর তিনি চোখ মেলে তাকান। তিনি কথা বলার চেষ্টা করেও পারেননি। দ্রুত তাকে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। নেয়ার পথেও তিনি চোখ মেলে তাকিয়ে ছিলেন। তবে কোন কথা বলেননি। কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। তবে কথা বের হয়নি। এমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ হাসনাত। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, এয়ারব্যাগ দিয়ে লঞ্চটি ভাসিয়ে তোলার চেষ্টার সময় ওই ব্যক্তি জীবিত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। যদিও তিনি অনেকটাই নির্জীব ছিলেন। বলতে গেলে অনেকটাই অজ্ঞানের মতো হয়ে পড়েছিলেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তিনি চোখ মেলে তাকান। পরে তাকে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে তিনি কিভাবে এত দীর্ঘ সময় ডুবে যাওয়া জলযানে জীবিত ছিলেন তা রীতিমতো রহস্যের সৃষ্টি করেছে। তিনি সুস্থ হওয়ার পরেও বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির নাম সুমন ব্যাপারী (৫২)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি থানাধীন আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। এদিকে এই ভাগ্যবান ব্যক্তিকে দেখার জন্য শত শত মানুষ ঘাটে ও হাসপাতালে ভিড় করছেন।
×