ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে এক কিট দিয়ে দুটি নমুনা পরীক্ষা ॥ তবুও জট কমছে না

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ৩০ জুন ২০২০

চট্টগ্রামে এক কিট দিয়ে দুটি নমুনা পরীক্ষা ॥ তবুও জট কমছে না

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা কেবলই বাড়ছে। কিন্তু সে অনুপাতে নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। রবিবার পর্যন্ত কিট সঙ্কট ছিল। কিন্তু রাতে ঢাকা থেকে ৩ হাজার কিটের একটি চালান এসেছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে জমে যাওয়া ২৮শ’ য়েরও বেশি নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে এক কিটে দুটি নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিআইটিআইডি (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস)। উল্লেখ করা যেতে পারে, সরকারী চারটি এবং বেসরকারী হাসপাতালে দুটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে আরও দুটি বেসরকারী হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। ফলে নমুনার জট লেগেই আছে। এদিকে, যাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে তার ফলাফল পেতে দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কেউ কেউ সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকের অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে গিয়ে কেউ কেউ প্রাণও হারাচ্ছেন। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বিষয়ক তদারকি কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, আপাতত কিটের সঙ্কট কেটে গেছে। এছাড়া একটি কিট ব্যবহৃত হচ্ছে দুটি নমুনা পরীক্ষার জন্য। সরকারী ল্যাবগুলোতে টেকনিশিয়ান সঙ্কটও রয়েছে। এতে করে কাক্সিক্ষত সঙ্কট নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জট সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে, যে ১২টি বেসরকারী হাসপাতালকে করোনা রোগী পরীক্ষার জন্য সরকারী নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে মা ও শিশু হাসপাতাল পুরো মাত্রায় এ জাতীয় রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্য বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো করোনা রোগী ভর্তি করালেও আইসিইউ সুবিধা দিচ্ছে না। মোদ্দাকথা চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা হাতে যে নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে আছে এর কোন উন্নতি এখনও হয়নি। বেসরকারী পর্যায়ের কয়েকটি কমিউনিটি সেন্টার মালিক এগিয়ে আসায় ইতোমধ্যে আড়াই শ’ ও দেড় শ’ বেডে দুটি আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা রয়েছে। যেগুলোকে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নামে অভিহিত করা হচ্ছে। চট্টগ্রামে করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্যান্য জটিল রোগে আক্রান্তরাও কঠিন সময় পার করছেন।
×