ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে এসওপি তৈরি

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৩০ জুন ২০২০

সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে এসওপি তৈরি

মশিউর রহমান খান ॥ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে লকডাউন (জোনিং সিস্টেম) বাস্তবায়নে সমন্বিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করেছে সরকার। ঘোষণা করা রেডজোনে এখন থেকে যে সকল এলাকায় লকডাউন করা হবে সেসব এলাকায় এই এসওপি অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। সোমবার বিকেলে দেশের ১২টি সিটি কর্পোরেশনে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব নাজনীন ওয়ারেস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ রিস্ক জোর কোভিড-১৯ কন্টেইনমেন্ট স্ট্র্যাটেজি গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে। সরকার ঘোষিত রেডজোনে কোভিড নমুনা পরীক্ষা, কোভিড নন কোভিড স্বাস্থ্যসেবা প্রোটোকল, কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশন, এ্যাম্বুলেন্স সেবা বা জন চলাচল যান চলাচল,অর্থনৈতিক কর্মকান্ড খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের মানবিক সহায়তা প্রদান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সার্বিক কর্মকা- পরিচালনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী একটি সমন্বিত এসওপি তৈরি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়েছে যে, রেডজোন এলাকায় এসওপি অনুযায়ী লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর করতে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী, ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন পুরোপুরি কার্যকর ও সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। চিঠিতে বলা হয়, প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন জোনিং সিস্টেম সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে তিন ধরনের কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিগুলো হচ্ছে, সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি, ওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা কমিটি, ও প্রতিটি উপ অঞ্চল পর্যায়ে সাবজোন বা স্পট ব্যবস্থাপনা কমিটি। উক্ত কমিটিতে মেয়রকে প্রধান করে ও স্থানীয় সকল সংসদ সদস্যকে উপদেষ্ঠা হিসেবে যুক্ত করে ১৪ সদস্যের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করবে। ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটিতে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আহ্বায়ক ও সংশ্লিষ্ট এলাকার সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে এগারো সদস্যের কমিটি গঠন করবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো অপ্ট করতে পারবে। উক্ত কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবে ও সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রিপোর্ট করবে বা সহায়তা নেবে। এছাড়া সাবজোন বা স্পট ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৮-১০টি অঞ্চলে ভৌগোলিকভাবে বিভক্ত করে তা সীমাবদ্ধ করে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলল কর্তৃক মনোনিত স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে আহ্বায়ক করে মোট ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করবে।
×