ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোর অফিসের ৫ বছরে ৪৭ কোটি টাকার গৃহঋণ বিতরণ

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৩০ জুন ২০২০

হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোর অফিসের ৫ বছরে ৪৭ কোটি টাকার গৃহঋণ বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান ১৬ শতক জমির ওপর বাড়ি নির্মাণ করেছেন সম্প্রতি। এজন্য তার কিছু টাকা সঙ্কট দেখা দেয়। পরে তিনি সরকারের হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স অফিস থেকে ৯ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। এতে তার দ্বিতল ভবন সম্পন্ন হয়। শহরতলীর আরবপুর বাইপাস সড়কের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম আড়াই কাঠা জমি মর্টগেজ রেখে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ লাখ টাকার গৃহঋণ নেন। যা দিয়ে তার দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়েছে। ২০ বছর মেয়াদী এই ঋণ তারা প্রাপ্তির এক বছর পর কিস্তি শোধ করেন। শুধু ওই দু’জন নয়, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোর অফিস বছরে সাড়ে ৪শ’ গ্রাহক গৃহঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন। গত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৪৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছেন। এ সময় তাদের আদায় হয়েছে ৩৭ কোটি টাকা। শহরের বেজপাড়া এলাকার দিদার বক্স বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোর অফিস থেকে ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করেন আরও ৫ বছর আগে। তিনি বলেন, আমার সাধ্য ছিল না বাড়ি করার, গৃহঋণ নিয়ে সাহস দেখিয়েছি বাড়ি নির্মাণের। এখন ঋণের কিস্তি দিতে আমার সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তাদের গৃহঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি টাকা। সেখানে বিতরণ করেন ৪ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি টাকা, বিতরণ করা হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি টাকা, দেয়া হয় ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি টাকা, বিতরণ হয়েছে ১৮ কোটি ৫ লঅখ টাকা। এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ কোটি টাকা। সেখানে বিতরণ হয়েছে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স যশোরাঞ্চলের রিজিওন ম্যানেজার কালিদাস রায় জানান, সব নিয়ম মেনে গ্রাহক আবেদন করলে জমির পরিমাণ অনুযায়ী সবোর্চ্চ ২ মাসের মধ্যে ঋণ বিতরণ করা হয়। ঋণ পাবার এক বছর পর থেকে গ্রাহক কিস্তির টাকা পরিশোধ করা শুরু করবেন। সবোর্চ্চ ৬০ লাখ টাকা আমরা দিয়ে থাকি। ৮ শতাংশ সুদে গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করবেন। যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান জানান, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্সের ঋণ আরও সহজ করা প্রয়োজন। যাদের জমি আছে, অথচ বাড়ি করার সাধ্য নেই তাদেরকে ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। আবার দেখতে হবে কেউ যেন এই ঋণ নিয়ে অন্যখাতে নিয়ে না যায়। তাহলে এর উদ্দেশ্য সফল হবে না।
×