ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমতলীতে ড্রেনেজ নির্মাণে অনিয়ম ॥ পানি নিষ্কাশন বন্ধ

প্রকাশিত: ২১:২৮, ৩০ জুন ২০২০

আমতলীতে ড্রেনেজ নির্মাণে অনিয়ম ॥ পানি নিষ্কাশন বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৯ জুন ॥ আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা বক্স কালভার্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত তিনশ’ ৭৩ মিটার ড্রেনেজ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে। ড্রেনে পানি জমে ভরে গেছে। পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে ড্রেনেজের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অন্তত পাঁচ হাজার মানুষ। পচা দুর্গন্ধে এলাকায় বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগ এ বছর জানুয়ারি মাসে আমতলী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা বক্স কালভার্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত তিনশ’ ৭৩ মিটার ড্রেনেজ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। ওই ড্রেনেজ নির্মাণের কাজ পায় মির্জাগঞ্জের ঠিকাদার বারেক মিয়া। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মহাসড়কের দুই পাশে তিনশ’ ৭৩ মিটার দৈর্ঘ্য, তিন ফুট প্রস্ত ও তিন ফুট গভীর এ ড্রেনেজটি। ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ শুরুতেই তিনি প্রাক্কলন অনুসারে কাজ করেনি। দৈর্ঘ্য-প্রস্ত ঠিক থাকলেও ড্রেনেজের গভীরতা ঠিক নেই। এছাড়াও নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তিনি কাজ করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় লোকজন কাজের শুরুতে ঠিকাদারের এ অনিয়মের বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেনকে জানালেও তিনি কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো তিনি তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে ড্রেনেজ দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না বলে জানান স্থানীয়রা। দ্রুত এ ড্রেনেজ সংস্কার করা না হলে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে নিম্নমানের সামগ্রী ও প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করে অর্থ আত্মসাত করেছেন। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ড্রেনেজ দিয়ে পানি নামছে না। ড্রেনেজে পানি ও ময়লা আবর্জনায় ভরা। ড্রেনেজ থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। ড্রেনেজের দু’পাশের ব্যবসায়ীরা খুবই কষ্টে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। আমতলী চৌরাস্তার ফল ব্যবসায়ী আল-আমিন বলেন, এটা ড্রেনেজ করা হয়নি, ময়লার ভাগাড় করা হয়েছে। ড্রেনেজ দিয়ে কোন পানি নামছে না। পচা দুর্গন্ধে আমাদের টিকতে সমস্যা হচ্ছে। ড্রেনে পানিতে ভরে আছে। দ্রুত ড্রেনেজ সংস্কারের দাবি জানাই। বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যোগসাজশে প্রাক্কলন অনুসারে কাজ না করে টাকা আত্মসাত করেছেন। পরিকল্পনা অনুসারে ড্রেনেজ না করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ রয়েছে।
×