নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ জুন ॥ ধামইরহাটে পল্লী বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করার পরও গ্রাহককে আাবারও পরিশোধকৃত বিলের কাগজ প্রদান করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে অসহায় হয়ে পড়া পল্লী এলাকার গ্রাহকদের একসাথে মোটা অঙ্কের বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বর্তমানে পল্লী বিদ্যুত অফিসে প্রতিদিন শত শত গ্রাহকের অভিযোগ আসছে।
জানা গেছে, চলতি বছরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের বিদ্যুত বিল ঢিলাঢালাভাবে জমা নেয়া হতো। চলতি জুন মাস থেকে গ্রাহকরা পুরোদমে বকেয়াসহ বিল জমা দেয়। এদিকে জুন মাসে উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল আসে। অন্যান মাস থেকে প্রায় ৩শ’ থেকে ৫শ’ বা তার বেশি বিল আসে। অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন, বিদ্যুত বিভাগের লোকজন মিটার না দেখে মনগড়া বিল তৈরি করেন। নওগাঁ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের অধীনে প্রায় ৫৩ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার আবাসিক গ্রাহককে অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে। উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত বড় চকগোপাল গ্রামের আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহক আব্দুল মান্নান জানান,পল্লী বিদ্যুত অনুমোদিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট এজেন্ট ব্যাংক ধামইরহাট শাখায় চলতি জুন মাসের ৭ তারিখে মার্চ এবং মে মাসের বকেয়া বিল জমা দেন। অথচ জুন মাসের বিলের সঙ্গে পরিশোধকৃত বকেয়া মার্চ ও মে মাসের বিলের কাগজ তাকে দেয়া হয়। তাছাড়া অন্যান্য মাসে ৫০ থেকে ৫৫ ইউনিটের বিল আসলেও জুন মাসে তার ১শ’ ইউনিটের বিল আসে। উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের অন্তর্গত অর্জুনপুর গ্রামের বিদ্যুত গ্রাহক আবু জালাল আজাদ বলেন, তার বাড়ির বিদ্যুত বিল জানুয়ারি থেকে মে মাস মোট পাঁচ মাসের বিল এসেছে ৯শ’ ৬৮ টাকা। অথচ শুধু জুন মাসে বিল এসেছে ১ হাজার ৮শ’ টাকা। এদিকে বিদ্যুত অফিসে গ্রাহকরা লম্বা লাইন ধরে একটি মাত্র বুথে বিল জমা দিচ্ছেন। বিল জমা দেয়ার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার কোন বালাই নেই। গ্রাহকরা একে অপরের সঙ্গে গা ঘেঁষে বিল জমা দিচ্ছেন।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ ধামইরহাট জোনের উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোঃ শাহিন কবির বলেন, তার গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিটার রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিল তৈরি করেছে। এখানে কোন বাড়তি বিল করা হয়নি। যে সকল গ্রাহক ব্যাংকে বিল জমা দিয়েছেন তাদের বকেয়া বিলগুলো অফিসে আসতে সময় লেগেছে। যার কারণে বকেয়া পরিশোধের পরও কোন কোন গ্রাহকের কাছে পরিশোধিত বিলের কাগজ গেছে। অফিসে যোগাযোগ করলে এ সমস্যা সমাধান করা হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: